বরগুনার তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. জসিম উদ্দিন মোল্লার দুই দফা মারধরের দুদিন পর নিহত জেলে ওবায়দুল হাওলাদারের (৪০) লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে তালতলী থানা-পুলিশ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
এ ঘটনায় তালতলী থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ লাশ থানায় নিয়ে আসার পর থেকে ইউপি সদস্য মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।
জানা গেছে, তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ৫ জুন জেলেদের চাল বিতরণ করা হয়। ওই সময় জেলে ওবায়দুল হাওলাদারকে ইউপি সদস্য জসিম মোল্লা চাল দেননি। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইউপি সদস্য ওই দিন তাঁকে মারধর করেন।
এর জেরে গত সোমবার নতুন বাজার এলাকায় পেয়ে ইউপি সদস্য জসিম মোল্লা জেলে ওবায়দুলকে দ্বিতীয় দফায় মারধর করেন। পরে ওবায়দুল তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। এরপর গত বুধবার রাতে ওবায়দুল অসুস্থ হয়ে বাড়িতে মারা যান।
এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিহত জেলে ওবায়দুল হাওলাদারের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।