রামপাল (বাগেরহাট): ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পরবর্তী প্রভাব ও পূর্ণিমার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে আজও তলিয়ে গেছে মোংলার ১২টি গ্রাম।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাভাবিকের তুলনায় অধিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে পশুর নদীর তীরবর্তী চিলা ইউনিয়নের জয়মনি, সুন্দরতলা, কলাতলা, কাটাখালকুল, চাঁদপাই ইউনিয়নের কাইনমারী, কানাইনগর ও বুড়িরডাঙ্গার মহিদাড়া, শেলাবুনিয়া, সানবান্ধা, বিদ্যারবাহনসহ ১২টি গ্রাম।
এতে আজও পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৮ শত পরিবার। আজ দুপুরেও প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, বাগেরহাট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য, মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, ইউএনও কমলেও মজুমদার।
এদিকে আজও সুন্দরবনের দুবলারচর ও করমজলসহ বন বিভাগের বিভিন্ন এলাকা এবং স্থাপনা তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বন কর্মকর্তা প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় ও আজাদ কবির।
দুলবার চরের ওসি প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় বলেন, আজ বৃহস্পতিবারও স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৪ ফুট অধিক পানিতে দুবলাসহ আশপাশ বন এলাকা তলিয়ে গেছে। তবে আজও প্রচণ্ড ঝোড়ো হাওয়া বইছে এবং সাগর প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে।