সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) সার্জারি ও থেরিওজেনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা লাকীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় অসহযোগিতার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার প্রয়াস চালানোসহ সার্বিক বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অ.দা.) অধ্যাপক ড. মো. আসাদ-উদ-দৌলা স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ সন্ধ্যায় সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অফিস আদেশে বলা হয়, সিকৃবির সার্জারি ও থেরিওজেনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. অনিমেশ চন্দ্র রায় কর্তৃক একই বিভাগের প্রফেসর ড. নাসরিন সুলতানা লাকীর বিরুদ্ধে বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় অসহযোগিতা করা-সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সত্য বলে প্রতীয়মান হওয়া, যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন প্রতিরোধ-সংক্রান্ত কমিটির সভাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের পরও কমিটি সংশ্লিষ্ট নথি বুঝিয়ে না দিয়ে কমিটির সভা আহ্বান করার ধৃষ্টতা দেখানো, বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত ভিত্তিহীন সংবাদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার আলোকে (খোরপোশ) বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা লাকী বলেন, ‘এ রকম কোনো কিছুই হয়নি। এসব মিথ্যা-বানোয়াট। অন্যায়ভাবে করা হয়েছে। আমার কাছে আগে কখনো কিছু বলা হয়নি। বিভাগের চেয়ারম্যান অনেক সমস্যা সৃষ্টি করেছেন। যার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। আমার ২২টির অধিক আবেদনের একটিও আমলে নেওয়া হয়নি। চরম বিতর্কিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ বিষয়ে অনাস্থা জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’