ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফুঁপিয়ে কেঁদেছেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। ক্ষোভ ঝেড়েছেন সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। আশার কথা শুনিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। পালিয়ে থাকার তথ্য দিলেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গতকাল বুধবার তাঁদের রিমান্ড ও গ্রেপ্তার আবেদনের শুনানিতে ও আদালত থেকে নেওয়ার পথে এসব ঘটনা ঘটে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা মামলায় শাজাহান খান, জুনাইদ আহমেদ পলক, তানভীর হাসান সৈকতকে ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তুরিন আফরোজকে উত্তরা পশ্চিম থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ফুঁপিয়ে কেঁদেছেন তুরিন: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে শুনানির সময় আদালতের কাঠগড়ায় হাজির করা হয়। কাঠগড়ার পেছনের দিকে দাঁড়িয়ে তিনি ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকেন। এ সময় ওই আদালতে কাঠগড়ায় আনা হয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকতকে। তাঁদের দুজনকেই তুরিন আফরোজকে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায়।
আদালতের অনুমতি নিয়ে তুরিন বলেন, ‘আমি অসুস্থ। হাঁটতে পারি না। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার কোনো রাজনৈতিক পদ-পদবি ছিল না। শুধু পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছি।’
ক্ষোভ ঝাড়লেন শাজাহান খান: যাত্রাবাড়ী থানায় করা একটি হত্যা মামলায় শাজাহান খানকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার যে অভিযোগের বিচার হচ্ছে, সেই অভিযোগের চেয়ে একাত্তরের অভিযোগ গুরুতর। লাখ লাখ মানুষকে হত্যায় জামায়াত জড়িত। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাসহ ৩ হাজার সেনা কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিকে হত্যা করেছেন। এরশাদ সাহেবও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন। তাঁরাও গিলটি। তাঁদের বিচার আগে করে তারপর শেখ হাসিনার বিচার করুক।’