বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশে চাঁদপুর জেলা থেকে লঞ্চ ও বাসে যোগ দিয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার নেতা-কর্মী।
শনিবার (১৯ জুলাই) ভোর সাড়ে ৬টায় চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে যায় দুটি বিলাসবহুল লঞ্চ। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সেগুলো লঞ্চঘাটে পৌঁছায়। এর আগে মধ্যরাতে ছেড়ে যায় আরও একটি লঞ্চ।
চাঁদপুর শহর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট শাহজাহান খান বলেন, চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে গতকাল রাতে এবং আজ সকালে তিনটি লঞ্চ এবং মতলব দক্ষিণ লঞ্চঘাট থেকে দুটি লঞ্চে কচুয়া ও মতলব দুই উপজেলার নেতা-কর্মীরা সমাবেশের উদ্দেশে গিয়েছেন।
তিনি বলেন, জেলার আট উপজেলার নেতা-কর্মীদের সুবিধার্থে যানবাহন ঠিক করা হয়েছে। উপকূলীয় উপজেলার লোকজন লঞ্চে এবং যাদের সড়কযোগাযোগ সহজ, তাঁদের বাসে করে পাঠানো হয়েছে।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো. শাহাজাহন খান বলেন, সমাবেশে যোগদান করার জন্য অর্ধলক্ষাধিক জনশক্তি প্রস্তুত ছিল। কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৩০ হাজার। তবে কম-বেশি হতে পারে। প্রতি উপজেলা ও নির্বাচনী এলাকার নেতাদের সমাবেশে আসা যাওয়ার জন্য দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে।
জেলা আমির মাওলানা মো. বিল্লাল হোসেন মিয়াজী বলেন, ‘আগে থেকেই আমরা সমাবেশে যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। পাঁচটি লঞ্চ এবং ৫০টি বাসে জেলার নেতা–কর্মীরা এই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। সমাবেশে আগামী দিনের রাজনীতির যে দিকনির্দেশনা আসবে, তা বাস্তবায়নে নেতা–কর্মীরা নিজ এলাকায় কাজ করবে। সমাবেশ শেষে যাতে সুশৃঙ্খল ও সুস্থভাবে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারি, সে জন্য মহান রবের সাহায্য কামনা করছি।’