কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ট্রাক-সিএনজিচালিত অটোরিকশা-ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে এক নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। আজ সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের ফেলনা কাজী বাড়ি ইউটার্নে এ দুর্ঘটনা ঘটে। চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হিলাল উদ্দিন আহাম্মেদ আজ সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ব্যক্তিরা সবাই সিএনজি অটোরিকশার আরোহী। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনের পরিচয় মিলেছে। তাঁরা হলেন নাঙ্গলকোট উপজেলার মহিশ্বর গ্রামের আবু তৈয়ব (২৬), একই উপজেলার বাঙ্গড্ডার আব্দুর রহিম (২৭), ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক মাহবুবুল হক ও আনোয়ারা বেগম (৪২)। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় তাঁদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে আব্দুর রহিম, আনোয়ারা বেগম, আবু তৈয়বসহ অজ্ঞাতনামা আরও একজনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সড়কের ফেলনা কাজী বাড়ির সামনে ইউটার্নে লাকসাম থেকে চৌদ্দগ্রামমুখী একটি ট্রাকের সঙ্গে চৌদ্দগ্রাম থেকে নাঙ্গলকোটগামী একটি সিএনজি অটোরিকশা ও একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে ট্রাকের নিচে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই দুজন পুরুষ, একজন নারীসহ তিনজন নিহত হন।
অটোচালক মাহবুবুল হক জানান, ট্রাকটি বেপরোয়া সিএনজি অটোরিকশাটির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এ সময় তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিএনজি অটোরিকশার পেছনে ধাক্কা দেন। চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার ওসি হিলাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজন মারা গেছেন। মৃত ব্যক্তিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। ট্রাকের ভেতরে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি ঢুকে যাওয়ায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।