হোম > আড্ডা

তুমি আমায় ঢাকায় দেখেছ?

তাঁর নাম ছিল লরেন্স অলিভিয়ের। নিজের কীর্তির কারণে ব্রিটিশ এই অভিনেতা হয়ে ওঠেন স্যার লরেন্স, এরপর লর্ড লরেন্স। যদিও বন্ধুদের কাছে তিনি সব সময় ছিলেন ল্যারি। আমরা লরেন্স অলিভিয়েরকে পাই চলচ্চিত্রে—হ্যামলেটরূপে। আর অ্যালফ্রেড হিচককের ‘রেবেকা’য় তো তিনি অনবদ্য।
তাঁর সঙ্গে একবারই দেখা হয়েছিল আমাদের সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হকের। বিবিসির পক্ষ থেকে সত্তরের দশকের মাঝামাঝি তিনি গিয়েছিলেন লরেন্স অলিভিয়েরের কাছে। তিন মিনিট সময় দিয়েছিলেন শিল্পী।

সেদিন গলাবন্ধ সোয়েটার ও কালো ট্রাউজার পরেছিলেন তিনি। সৈয়দ হক তাঁকে বললেন, ‘হ্যামলেট চলচ্চিত্রটি সেই কবে ঢাকায় দেখেছিলাম, তার আটাশ বছর পর আপনাকে চাক্ষুষ করলাম!’

অলিভিয়ের বললেন, ‘ঢাকা কোথায়?’

‘বাংলাদেশে।’

অবাক হয়ে স্যার লরেন্স বললেন, ‘তুমি আমায় ঢাকায় দেখেছ?’

এই একই প্রশ্ন তিনি বারবার করতে থাকেন। তাঁর বিস্ময় যায় না।

‘তুমি আমাকে ঢাকায় দেখেছ? আমাকে? ছবিতে? আমার ছবি চলে বাংলাদেশে? ওখানে আমাকে জানে? ওখানে তোমরা আমাকে চেনো?’
শিশুর মতো প্রশ্নগুলো করে যেতে থাকেন স্যার লরেন্স অলিভিয়ের। তাঁর মধ্যে বিস্ময় ও বিনয়ের মিলিত জলধারা দেখতে পান সৈয়দ হক। এই মানুষটির সরলতার পাশাপাশি মনে করার চেষ্টা করেন, আমাদের অনেকেরই চেহারা, যা নিজ সাফল্যগর্বে ‘বঙ্কিম ও উদ্ধত চিবুক’।

স্যার লরেন্সের কাছে একটাই প্রশ্ন করেছিলেন সৈয়দ হক। ন্যাশনাল থিয়েটারে প্রথম নাটকটি কেন ‘হ্যামলেট’। এটা কি এই নাটকের প্রতি লরেন্স অলিভিয়েরের দুর্বলতার জন্য?

লরেন্স বলেছিলেন, এই ন্যাশনাল থিয়েটারে প্রধানত অতীতের নাটক মঞ্চস্থ হোক—এটাই তাঁর ইচ্ছা।
এর কারণ হিসেবে বলেছিলেন, ‘আমরা যদি আমাদের সাংস্কৃতিক অতীত সংরক্ষণ করতে রাজি না থাকি, তাহলে আমরা কিন্তু সমৃদ্ধতর সাংস্কৃতিক ভবিষ্যতের আশা কখনোই করতে পারব না।’

সূত্র: সৈয়দ শামসুল হক, হৃৎকলমের টানে, পৃষ্ঠা: ১১৫-১১৬

শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি

কোচির ইহুদি পরিবারের ঐতিহ্য যেভাবে বাঁচিয়ে রাখছেন এক মুসলিম

গাবতলী সেতু বধ্যভূমি

সাহিত্যচর্চা এবং মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট

রমনা কালীবাড়ি বধ্যভূমি

আমাদের অর্জন অনেক

এবার অক্সফোর্ডের বর্ষসেরা শব্দ ‘রেজ বেইট’—এর অর্থ কী

রাষ্ট্রীয় সংস্কার করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট

জল্লাদখানা বধ্যভূমি

সিদলের স্বাদ