পারমাণবিক যুদ্ধের মুখে বসে থাকা সাধারণ মানুষ এ যুদ্ধের ভয়াবহতার কথা জানে। কিন্তু যুদ্ধ থেকে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার সক্ষমতা রাখে না। এখানেই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে ওঠেন স্যালি লিলিয়েন্থাল। পারমাণবিক অস্ত্রের বিপদ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন তিনি। পারমাণবিক বিপদকে শুধু রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে না দেখে এটিকে মানবজাতির নৈতিক সমস্যা হিসেবে দেখতেন তিনি। সাধারণ মানুষকে এর সমাধানে এগিয়ে আসার জন্য অনুপ্রাণিত করতেন স্যালি।
১৯৮২ সালে সেন্টার ফর নিউক্লিয়ার ইয়াংজিনিয়াস প্রতিষ্ঠা করেন স্যালি। এই সংস্থা প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ছিল পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি এবং অস্ত্রের বিস্তার সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবগত করা; বিশেষ করে নীতিনির্ধারকদের কাছে এই বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া। স্যালি বিশ্বাস করতেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র সম্পর্কে ভয় বা হতাশার পরিবর্তে সক্ষমতা বোধ তৈরি করা প্রয়োজন; যাতে তারা এই বিষয়ে কার্যকরভাবে পদক্ষেপ নিতে পারে।
স্নায়ুযুদ্ধের সময় যখন পারমাণবিক উত্তেজনা তুঙ্গে ছিল, স্যালি তখন বিভিন্ন ধরনের জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন, সেমিনার এবং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তাঁর কাজের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের আন্দোলনে অংশ নিতে উৎসাহিত হয়েছিল। শান্তির পক্ষে তাঁর দীর্ঘদিনের অঙ্গীকার এবং কাজের জন্য তিনি একাধিক সম্মাননা ও পুরস্কার লাভ করেন।
স্যালির জন্ম ১৯১৯ সালের ১৯ মার্চ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ডে। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ২০০৬ সালের ২৪ অক্টোবর।