অ্যামাজন ও গুগল যৌথভাবে নতুন মাল্টিক্লাউড নেটওয়ার্কিং সেবা চালু করেছে। এটি নিরবচ্ছিন্ন ও দ্রুতগতির ক্লাউড সংযোগের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এক বিবৃতিতে সংস্থা দুটি জানিয়েছে, ইন্টারনেট বিভ্রাটের কারণে যখন বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটছে, ঠিক সে সময় উদ্যোগটি নেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নতুন উদ্যোগের ফলে গ্রাহকেরা মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে দুই কোম্পানির কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্মের মধ্যে ব্যক্তিগত ও উচ্চগতির সংযোগ স্থাপন করতে পারবেন, যার জন্য আগে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগত।
গত ২০ অক্টোবর অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের (এডব্লিউএস) একটি বড়সড় বিভ্রাটে বিশ্বব্যাপী হাজারো ওয়েবসাইট অচল হয়ে যায়। স্ন্যাপচ্যাট, ডুয়োলিঙ্গো, জুম ও গেমিং প্ল্যাটফর্ম রোব্লোক্সের মতো জনপ্রিয় অ্যাপও সেই সময় অফলাইনে পড়ে। বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান প্যারামেট্রিক্সের মতে, ওই বিভ্রাটে মার্কিন কোম্পানিগুলোর ৫০ থেকে ৬৫ কোটি ডলার ক্ষতি হয়।
ওই ঘটনার ঠিক এক মাস পরেই এই যৌথ মাল্টিক্লাউড সেবা চালুর ঘোষণা এল। অ্যামাজন জানিয়েছে, তাদের এডব্লিউএস ইন্টারকানেক্ট-মাল্টিকানেক্ট প্রযুক্তি এখন গুগল ক্লাউডের ক্রোস-ক্লাউড ইন্টারকানেক্ট সেবার সঙ্গে যুক্ত হবে। দুই পক্ষের মতে, এতে নেটওয়ার্ক ইন্টার-অপারেবিলিটি বা পারস্পরিক সংযোগ আরও সহজ হবে এবং ক্লাউড থেকে ক্লাউডে ডেটা আদান-প্রদান অনেক দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য হবে।
এডব্লিউএসের নেটওয়ার্ক সার্ভিসেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট রবার্ট কেনেডি বলেন, এডব্লিউএস ও গুগল ক্লাউডের এই সহযোগিতা মাল্টিক্লাউড সংযোগে একটি মৌলিক পরিবর্তন আনবে।
গুগল ক্লাউডের ক্লাউড নেটওয়ার্কিং বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট রব এনস বলেন, এই নেটওয়ার্কের লক্ষ্য হলো গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ক্লাউডের মধ্যে তথ্য ও অ্যাপ্লিকেশন স্থানান্তর আরও সুবিধাজনক করা।
গুগল ক্লাউড জানিয়েছে, ক্লাউডভিত্তিক সফটওয়্যার কোম্পানি ইতিমধ্যে এই নতুন নেটওয়ার্কিং পদ্ধতির প্রাথমিক ব্যবহারকারীদের মধ্যে রয়েছে।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্লাউডসেবা দেয় এডব্লিউএস। এর পরেই রয়েছে মাইক্রোসফটের অ্যাজুর ও তারপর গুগল ক্লাউড। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে অ্যালফাবেট (গুগলের মূল সংস্থা), মাইক্রোসফট, অ্যামাজনের মতো প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো ইন্টারনেট ট্রাফিক পরিচালনার জন্য অবকাঠামো নির্মাণে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে।