গুগলের কাস্টম এআই চিপ বা টেনসর প্রসেসিং ইউনিট ব্যবহার করতে চায় মেটা। খবর অনুযায়ী, মেটা ২০২৬ সালে গুগল ক্লাউড থেকে এই চিপগুলো ভাড়া নেবে এবং ২০২৭ সালে সরাসরি কিনে নেবে।
এটি দুই প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন এক উদ্যোগ। গুগল আগে এই চিপগুলো মূলত নিজের কাজে ব্যবহার করত। আর মেটা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিপিইউ ও জিপিইউ ব্যবহার করত। নতুন এই চুক্তি এআই হার্ডওয়্যার ব্যবহারে বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।
মেটা শুধু গুগলের চিপের ওপর নির্ভর করছে না, তারা অন্য ধরনের প্রসেসরেও আগ্রহী। এর মাধ্যমে বোঝা যায় মেটা তার কম্পিউটিং শক্তি একাধিক উৎস থেকে সংগ্রহের দিকে নজর দিচ্ছে।
চুক্তির খবর প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে মার্কেটে পরিবর্তন দেখা গেছে। গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের মূল্য বেড়েছে এবং মেটার শেয়ারও বেড়েছে। অন্যদিকে কিছু চিপ নির্মাতার শেয়ার কমেছে। এ বিষয়ে বিনিয়োগকারীরা ভাবছেন, বড় প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন চিপ ব্যবহার করলে পুরোনো চিপের চাহিদা কমতে পারে। গুগল ক্লাউডের হিসাব অনুযায়ী, এই চুক্তি সফল হলে তারা বড় ধরনের বাজার দখল করতে পারবে। চলতি বছরে এ ধরনের ডেটা সেন্টারের চিপের বাজার ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
তবে বাজারে সরবরাহ সীমিত। জিপিইউ, মেমোরি মডিউল এবং অন্যান্য কম্পিউটিং উপাদানের ঘাটতি রয়েছে। ফলে দাম আগামী বছরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে। এআই ব্যবহারের দ্রুত সম্প্রসারণ সরবরাহ চেইনকে চাপে ফেলেছে। এ ছাড়া বড় অর্ডার দেওয়া হলেও উৎপাদন সীমাবদ্ধতার কারণে সময়মতো সরবরাহ সব সময় নিশ্চিত হবে না। এ ধরনের পরিস্থিতি ভবিষ্যতে চুক্তির কার্যকারিতা প্রভাবিত করতে পারে।
মেটা এবং গুগলের সম্ভাব্য চুক্তি প্রযুক্তি ও এআই চিপের বাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। তবে সরবরাহ সীমাবদ্ধতা, প্রতিযোগিতা এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল এআই পরিবেশের কারণে এর চূড়ান্ত প্রভাব পড়া এখনো অনিশ্চিত।
এই চুক্তি সফল হলে মেটা এআই ও ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহারে আরও শক্তিশালী অবস্থানে আসতে পারে। অন্যদিকে, চিপ নির্মাতাদের বাজারে নতুন প্রতিযোগিতা তৈরি হবে, যা ভবিষ্যতের প্রযুক্তি বিনিয়োগ ও ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকেও প্রভাবিত করতে পারে।
সূত্র: রয়টার্স