হোম > খেলা > ক্রিকেট

সুপার ওভারের নাটকীয়তায় ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে রোমাঞ্চ থাকবে না তা কি কখনো হয়! ম্যাচের ফল জানতে অনেক সময় অপেক্ষা রাখতে হয় শেষ বল পর্যন্ত। দোহায় ওয়েস্ট এন্ড পার্ক আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ ‘এ’-ভারত ‘এ’ রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপের প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচটা ছিল তার চেয়েও বড় কিছু। সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ।

জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৮ নভেম্বর এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। হামজা চৌধুরী-জামাল ভূঁইয়াদের সেই জয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই বাংলাদেশকে আরও একটি আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দিল ‘এ’ দল। রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপে আজ চরম নাটকীয়তাপূর্ণ ম্যাচে ভারত ‘এ’ দলকে হারাল বাংলাদেশ ‘এ’ দল।

হাতে ৫ উইকেট নিয়ে শেষ ওভারে আজ ভারত ‘এ’ দলের দরকার ছিল ১৬ রান। বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলী বল তুলে দিয়েছেন রাকিবুল হাসানের হাতে। তৃতীয় বলে রাকিবুলকে ছক্কা মারলেন আশুতোষ শর্মা। পরের বলে চার মারলেন আশুতোষ। তবে জিসান আলম লং অফে সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন। পঞ্চম বলে আশুতোষকে বোল্ড করে ম্যাচের পাল্লা আবার বাংলাদেশের দিকে ফিরিয়ে আনেন রাকিব। শেষ বলে হার্শ দুবে লং অনে ঠেলে ৩ রান নিয়েছেন। দুবে যখন দ্বিতীয় রান নিচ্ছিলেন, তখন উইকেটরক্ষক আকবর আলী অফ স্টাম্প ভাঙতে গিয়ে ওভার থ্রো করে বসেন। সেই সুযোগে দুবে আরও ১ রান নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটি হয় টাই।

সুপার ওভারে রিপন মন্ডলের আগুনে বোলিংয়ে ভারত কোনো রান না করেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে। প্রথম বলে ভারতীয় অধিনায়ক জিতেশ শর্মাকে বোল্ড করেন রিপন। পরের বলে আশুতোষ শর্মাকে ফিরিয়ে ভারতের ইনিংসের ইতি টানেন রিপন। ১ রানের লক্ষ্য হলেও নাটকীয়তা যে তখনো শেষ হয়নি। প্রথম বলে সুয়াশ শর্মাকে তুলে মারতে যান ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি। চাপ সামলে লং অনের সীমানার ধারে ক্যাচ ধরেন রামানদীপ সিং। পরের বলে সুয়াশ ওয়াইড দিলে বাংলাদেশ উঠে যায় ফাইনালে।

১৯৫ রানের লক্ষ্যে বৈভব সূর্যবংশীর তাণ্ডবে ৩.৩ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ভারত করে ৫৩ রান। চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে সূর্যবংশীকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আবদুল গাফফার সাকলাইন। ১৫ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৮ রান করেন সূর্যবংশী। ভারতের রান তোলার গতি যেমন কমতে থাকে, একই সঙ্গে তারা হারাতে থাকে উইকেটও। ৯.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ৯৬ রানে পরিণত হয় জিতেশ শর্মার ভারত। চতুর্থ উইকেটে ৫২ রানের জুটি গড়েন জিতেশ ও নেহাল ওয়াধেরা।

বাংলাদেশের ফিল্ডারদের পিচ্ছিল ফিল্ডিংও ভারতের ইনিংসটা এত দূর গিয়েছে। নবম ওভারের শেষ বলে আবু হায়দার রনিকে তুলে মারতে যান জিতেশ শর্মা। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ইয়াসির ক্যাচ ছেড়েছেন। জিতেশের স্কোর তখন ৫। ভারতীয় অধিনায়ক ব্যক্তিগত ১৬ রানের সময় ফের জীবন পেয়েছেন। ১৫তম ওভারের তৃতীয় বলে কাভারে ক্যাচ ছেড়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এবারও বোলার আবু হায়দার রনি।

৬ ও ১৬ রানে জীবন পাওয়া জিতেশ আউট হয়েছেন ৩৩ রান করে। ১৫তম ওভারের শেষ বলে তাঁকে ফিরিয়েছেন রনি। ক্যাচ ফেলেছেন অধিনায়ক আকবর আলী। শেষ ১১ বলে ২০ রানের সমীকরণ যখন ভারতের, তখন রিপন মন্ডলকে তুলে মারতে যান নেহাল ওয়াধেরা। আকাশে দীর্ঘক্ষণ ভেসে থাকা বল বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক আকবর আলী মিস করেছেন। ১৯তম ওভারে রিপন ৫ রান দিয়ে নিয়েছেন রামানদীপ সিংয়ের উইকেট। নাটকীয়তায় ভরপুর ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে সুপার ওভারে। মূল ম্যাচে ৪ ওভারে ৩৫ রানে ১ উইকেট ও সুপার ওভারে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন রিপন।

রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপের প্রথম সেমিফাইনালে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক জিতেশ শর্মা। আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশের স্কোর ১৮ ওভার শেষে ছিল ৬ উইকেটে ১৪৪ রান। ভারতীয় বোলারদের ওপর তাণ্ডব চলে শেষ দুই ওভারে। শেষ ১২ বলে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫০ রান যোগ করে বাংলাদেশ।

‘সোনার বাংলা’ নামে নতুন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আনছে বিসিবি

দুই দিনে টেস্ট শেষ হওয়ায় মেলবোর্নকে বাজে রেটিং দিল আইসিসি

সাকিব ভাইকে সবাই পেতে চায়: তাসকিন

‘মোস্তাফিজ ৯ কোটির জায়গায় ১৮ কোটি পেলেও অবাক হতাম না’

রংপুরের কাছে এবার উড়ে গেল চট্টগ্রাম

বিসিএলে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি পেয়েছেন মোস্তারি

আগুনে বোলিংয়ে তাসকিনদের রেকর্ডে ভাগ বসালেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার

কাকে সবচেয়ে বেশি ভয় পান শোয়েব

পাকিস্তানের পরই বাংলাদেশকে ‘ঘর’ মনে করেন শোয়েব

চোট নিয়েই অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলে তাঁরা