টেস্টে উদ্বোধনী জুটিতে সেঞ্চুরি তো দূরে থাক। তাসের ঘরের মতো যেভাবে বাংলাদেশের ইনিংস ভেঙে পড়ে, তাতে দ্রুত অলআউটের শঙ্কা কাজ করে দলের মধ্যে। ইনিংসের সুর বেঁধে দেওয়ার যে দায়িত্ব ওপেনারদের, সেটা বেশির ভাগ সময় পারেন না। সিলেটে আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সাদমান ইসলাম-মাহমুদুল হাসান জয়রা এনে দিয়েছেন সেঞ্চুরি জুটি।
উদ্বোধনী জুটিতে টেস্টে বাংলাদেশ সবশেষ সেঞ্চুরি পেয়েছে এ বছরের ২৯ এপ্রিল। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে উদ্বোধনী জুটিতে ১১৮ রান যোগ করেছিলেন এনামুল হক বিজয়-সাদমান। ১৯৭ দিন পর সেই সাদমান খেললেও নেই বিজয়। সিলেটে আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ১০৯ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে লাঞ্চে গেছেন সাদমান ও জয়। দুজনেই ফিফটি করেছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫৮ ও ৫০ রানে অপরাজিত সাদমান ও জয়।
প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৭০ রানে আজ দ্বিতীয় দিনে খেলতে নামে আয়ারল্যান্ড। সফরকারীদের নামের পাশে তখন ৯০ ওভার। দিনের প্রথম ওভার বোলিংয়ে আসা হাসানকে দুটি চার মেরেছেন ব্যারি ম্যাকার্থি। তবে আক্রমণাত্মক শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও পরের ৮ বলের মধ্যে শেষ ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে আইরিশরা। ৯২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ম্যাথু হামফ্রিজকে (০) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেছেন তাইজুল ইসলাম। সেই ওভারে ক্রেগ ইয়াং একটা ছক্কা মেরেছেন। যা ছিল আয়ারল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের শেষ বাউন্ডারি। এরপর ৯৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ম্যাকার্থিকে (৩১) বোল্ড করে সফরকারীদের ইনিংসের ইতি টানেন হাসান মাহমুদ।
৯২.২ ওভারে আয়ারল্যান্ড ২৮৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার অল্প কিছুক্ষণ পরই ব্যাটিংয়ে নেমে রয়েসয়ে শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম ৮ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৯ রান করে স্বাগতিকেরা। বাংলাদেশের গিয়ার বদলানো শুরু এরপর থেকেই। আয়ারল্যান্ডের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন সাদমান ও জয়। লাঞ্চে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ২৪ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০৯ রান করেছে স্বাগতিকেরা। সাদমান ৮৬.৫৬ স্ট্রাইকরেটে খেলছেন। জয়ের স্ট্রাইকরেট ৬৪.৫৩। এই ম্যাচ দিয়ে সাত মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন তিনি। সবশেষ এ বছরের এপ্রিলে সিলেটেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে খেলেছিলেন বাংলাদেশের এই ওপেনার। মাঝে এ বছরের জুনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলার সুযোগ হয়নি তাঁর।