পাকিস্তানের ম্যাচে নাটক না হয়ে কি পারে! সংস্করণ, প্রতিপক্ষ যা-ই হোক, ম্যাচের বাঁক বদলে যায় বারবার। ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ তকমা যে তাদের নামের পাশে জুড়ে গেছে, সেটার এক ঝলক আজ দেখাল রাওয়ালপিন্ডিতে।
রাওয়ালপিন্ডিতে পরশু তৃতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তান সিরিজ জিতেছে ৩-০ ব্যবধানে। কিন্তু লঙ্কানদের ধবলধোলাইয়ের পর পাকিস্তানের ব্যস্ততা তো শেষ হয়নি। একই মাঠে আজ শুরু হলো পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়েকে নিয়ে হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজ। শেষ ওভারের রোমাঞ্চে জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে পাকিস্তান।
জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৪৮ রানের লক্ষ্যে নেমে আজ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা পাকিস্তানের রান তোলার গতিও অনেক কম ছিল। ৯.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ৫৪ রানে পরিণত হয় পাকিস্তান। যাঁদের মধ্যে দুই ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান (১৬) ও সাইম আইয়ুব (২২) দুই অঙ্ক পেরোতে পেরেছেন। অধিনায়ক সালমান আলী আঘা ১ রান করেছেন। বাবর আজম আউট হয়েছেন শূন্য রানে।
চাপে পড়া পাকিস্তানকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন ফখর জামান ও উসমান খান। পঞ্চম উইকেটে ৩৯ বলে ৬১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। ১৬তম ওভারের শেষ বলে রিচার্ড এনগারাভাকে র্যাম্প শট করতে গিয়ে ফখর (৪৪) ক্যাচ তুলে দিয়েছেন জিম্বাবুয়ে উইকেটরক্ষক ব্রেন্ডন টেলরের হাতে। এক পর্যায়ে শেষ ১০ বলে ১৫ রানের সমীকরণের সামনে এসে দাঁড়ায় পাকিস্তানের। ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ব্রায়ান বেনেট ক্যাচটা ধরতে পারলে ১৮.৩ ওভারে ৬ উইকেটে পরিণত হতো পাকিস্তান। কিন্তু বেনেট ক্যাচ ছেড়েছেন। পাকিস্তান চার বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে।
ষষ্ঠ উইকেটে ২১ বলে ৩৬ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন নাওয়াজ ও উসমান। ৯ রানে বেঁচে যাওয়া নাওয়াজ ২১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন। ১২ বলের ইনিংসে মেরেছেন ২ চার ও ১ ছক্কা। ১২ বলে ২১ রানের পাশাপাশি বোলিংয়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন পাকিস্তানের এই বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার। জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন এনগারাভা, তিনোতেন্দা মাপোসা ও গ্রায়েম ক্রেমার।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আঘা। আগে ব্যাটিং পাওয়া জিম্বাবুয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৭ রান করেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন ওপেনার ব্রায়ান বেনেট। ৩৬ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৮ চার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন সিকান্দার রাজা। পাঁচ নম্বরে নেমে ২৪ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৩ চার ও ১ ছক্কা। পাকিস্তানের বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নাওয়াজ ৪ ওভারে ২২ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, আবরার আহমেদ, সাইম আইয়ুব ও সালমান মির্জা।