কলকাতা টেস্ট চলাকালীন ভারতীয় দলের চিন্তা বাড়িয়ে দিলেন শুবমান গিল। ঘাড়ের সমস্যা নিয়ে গতকাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সবশেষ খবর, বর্তমানে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) আছেন স্বাগতিক অধিনায়ক। মূলত সতর্কতামুলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবেই তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
ভারতের ইনিংসের ৩৫ তম ওভারে ক্রিজে আসেন গিল। মাত্র ৩ বল মোকাবেলার পর ঘাড় নাড়াচাড়া করতে পারছিলেন না তিনি। মাঠে ফিজিও দেখিয়েও কোনো কাজ হয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন এই ব্যাটার। ড্রেসিংরুমে প্রাথমিক চিকিৎসার পরও স্বাভাবিক হতে পারেননি। উপায়ান্তর না দেখে স্ট্রেচারে করে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
রেভস্পোর্টজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গিলের চিকিৎসার জন্য ডাঃ সপ্তর্ষি বসুর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এবং একজন স্নায়ু বিশেষজ্ঞ রয়েছেন।
হাসপাতালে নেওয়ার পর স্ক্যান এবং বেশকিছু পরীক্ষা করা হয়। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনায় গিলকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রের বরাতে আজ ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গিলের ঘাড়ের ব্যথা কিছুটা কমেছে। রিপোর্টেও কোনো জটিলতা ধরে পড়েনি। এরপরও এখনই আইসিইউ থেকে সরানো হচ্ছে না গিলকে। আরও কয়েকদফা পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে মেডিকেল টিম।
বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গিলের জন্য আগামী ছয়দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়টাতে খুব হিসেব করে চলতে হবে তাঁকে। তাই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। এর আগে বারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) জানায়, ঘাড়ের সমস্যার কারণে কলকাতার টেস্টের বাকি অংশ থেকে ছিটকে গেছেন গিল।