বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ—২০১৯ সাল থেকে শুরু করে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এই ৯ দলই খেলছে। এখন পর্যন্ত ১২ দল টেস্ট মর্যাদা পেলেও দল সংখ্যা বাড়েনি আইসিসির এই অভিজাত সংস্করণের টুর্নামেন্টে। অবশেষে এই নিয়মে পরিবর্তন হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।
ক্রিকেটের তিন সংস্করণে পরিবর্তন আনতে দুবাইয়ে কদিন আগে শেষ হওয়া আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে কিছু ব্যাপারে সুপারিশ করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক ব্যাটার রজার টুজ। ক্রিকইনফোর গতকালের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র (২০২৭-২৯) ১২ দল নিয়ে হতে পারে। আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড—যে তিন দল এখন পর্যন্ত চলমান চার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে অংশ নিতে পারেনি, তাদের দেখা যেতে পারে নতুন চক্রে। ক্রিকইনফোকে আইসিসির এক বোর্ড পরিচালক বলেন, ‘প্রত্যেকেরই টেস্ট খেলার নিশ্চয়তা দিচ্ছে এই চক্র। যারা এই সংস্করণে খেলতে আগ্রহী, তাদের জন্য দারুণ সুযোগ এটা। অন্যান্য দলের জন্য সেটা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।’
ওয়ানডেকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে ফিরতে যাচ্ছে ওয়ানডে সুপার লিগও। ১৩ দল নিয়ে ২০২০-এর জুলাই থেকে ২০২৩-এর মে পর্যন্ত ১৩ দলের ওয়ানডে সুপার লিগ হয়েছিল ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ সামনে রেখে। সুপার লিগের পর বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলেছিল ১০ দল। তবে ২০২৭ সাল থেকে কত দল নিয়ে ওয়ানডে সুপার লিগ হবে, সেটা এখনো জানা যায়নি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি, টি-টেনসহ ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের কারণে সূচি বের করাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে এখন।
টেস্টে দ্বিস্তরবিশিষ্ট নীতি ফেরানোর ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা চলছিল গত কয়েক মাস ধরে। আইসিসি র্যাঙ্কিং অনুযায়ী ছয় দল নিয়ে স্তর করলে প্রথম স্তরে থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে থাকবে দ্বিতীয় স্তরে।তবে ইংল্যান্ড এই ব্যাপারে আপত্তি তুলেছিল। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) প্রধান রিচার্ড থম্পসনের আশঙ্কা ছিল, দ্বিতীয় স্তরে নেমে গেলে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার সম্ভাবনা থাকবে না ইংল্যান্ডের। আগস্টে বিবিসিকে থম্পসন বলেছিলেন, ‘যদি কোনো কারণে দ্বিতীয় স্তরে নেমে যাই, তাহলে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তো খেলতে পারবে না। এটা হতে পারে না। ভেবে এখানে নতুন কিছু বের করতে হবে।’
ক্রিকইনফোর গতকালের প্রতিবেদন দেখে বোঝা গেল, টেস্টে দ্বিস্তর নীতি কার্যকর তাহলে হচ্ছে না। ১২ দল নিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্র হলে সেটা একস্তর বিশিষ্ট হতে যাচ্ছে। ২০১৯-২১ চক্রে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। পরের চক্রে (২০২১-২৩) ভারত ফের রানার্সআপ হয়েছিল। সেবার শিরোপা জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। আর এ বছরের জুলাইয়ে লর্ডসে ২০২৩-২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের ফাইনালে অজিদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পূর্ণ ১০০ শতাংশ সাফল্যের হার নিয়ে ২০২৫-২৭ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া।