এ বছরের এপ্রিলে সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট খেলেন মাহমুদুল হাসান জয়। এরপর বাংলাদেশ তিন টেস্ট খেললেও সুযোগ মেলেনি জয়ের। সেই সিলেটে সাড়ে ৬ মাস পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে ফিরলেন তিনি। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচটা দারুণ এক সেঞ্চুরিতে রাঙালেন তিনি।
ফেরার ম্যাচে জয় যে সেঞ্চুরি করেছেন, সেটা তাঁর টেস্টের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ২৮৩ বলে ১৪ চার ও ৪ ছক্কায় ১৬৯ রানে অপরাজিত তিনি। প্রথম ইনিংসে ৮৫ ওভারে ১ উইকেটে ৩৩৮ রানে আজ সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। জয়ের মতো সেঞ্চুরি করার হাতছানি মুমিনুল হকেরও। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজের প্রথম টেস্টে তিনি ব্যাটিং করছেন ৮০ রানে। স্বাগতিকেরা পেয়েছে ৫২ রানের লিড।
প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৭০ রানে আজ দ্বিতীয় দিনে খেলতে নামে আয়ারল্যান্ড। সফরকারীদের নামের পাশে তখন ৯০ ওভার। দিনের প্রথম ওভার বোলিংয়ে আসা হাসানকে দুটি চার মেরেছেন ব্যারি ম্যাকার্থি। তবে আক্রমণাত্মক শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও পরের ৮ বলের মধ্যে শেষ ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে আইরিশরা। ৯২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ম্যাথু হামফ্রিজকে (০) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেছেন তাইজুল ইসলাম। সেই ওভারে ক্রেগ ইয়াং একটা ছক্কা মেরেছেন। যা ছিল আয়ারল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের শেষ বাউন্ডারি। এরপর ৯৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ম্যাকার্থিকে (৩১) বোল্ড করে সফরকারীদের ইনিংসের ইতি টানেন হাসান মাহমুদ।
৯২.২ ওভারে আয়ারল্যান্ড ২৮৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার অল্প কিছুক্ষণ পরই ব্যাটিংয়ে নেমে রয়েসয়ে শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম ৮ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৯ রান করে স্বাগতিকেরা। বাংলাদেশের গিয়ার বদলানো শুরু এরপর থেকেই। আয়ারল্যান্ডের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন সাদমান ইসলাম ও জয়। দুই ওপেনারেরই সেঞ্চুরির সুযোগ থাকলেও সাদমান ইসলাম সেটা হাতছাড়া করেছেন। ১০৪ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৮০ রান করে আউট হয়েছেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪২তম ওভারের প্রথম বলে সাদমানকে ফিরিয়ে সাদমান-জয়ের ১৬৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছেন তিনি।
সাদমানের বিদায়ে ৪১.১ ওভারে ১ উইকেটে ১৬৮ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। স্বাগতিকেরা দিনের বাকি অংশ নিরাপদে কাটিয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয় উইকেটে ২৬৩ বলে ১৭০ রানের জুটি এরই মধ্যে গড়ে ফেলেছেন জয় ও মুমিনুল। এর আগে জয় ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ২০২২ সালের মার্চে। ৪৪ মাস আগে ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩২৬ বলে ১৫ চার ও ২ ছক্কায় ১৩৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন জয়। এবার তাঁর সামনে টেস্ট তো বটেই, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির হাতছানি।