প্রথমবার সম্মানের কথা কথা ভেবে সবকিছু গোপন রেখেছিলেন সন হিউং মিন। কিন্তু দ্বিতীয়বার আর সেটা করেননি এই তারকা ফুটবলার। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ২ প্রতারককে গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করেন। শেষ পর্যন্ত বড় শাস্তিই হয়েছে প্রতারকদের।
২ প্রতারকের একজন হলেন ইয়াং নামের ২০ বছর বয়সী এক তরণী। সনকে ভ্রূণের আল্ট্রাসাউন্ড ছবি পাঠিয়েছিলেন তিনি। বিষয়টি জনসমক্ষে প্রকাশ হবে এই ভেবে সেই প্রতারককে দাবিকৃত ৩০০ মিলিয়ন কোরিয়ান ওন বা ২ লাখ মার্কিন ডলার দেন সাবেক টটেনহাম হটস্পার ফরোয়ার্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় আড়াই কোটি টাকা।
পরবর্তীতে প্রেমিক ইওংকে সঙ্গে নিয়ে সনের কাছে আরও ৭ কোটি ওন দাবি করেন ইয়াং। এ যাত্রায় আর তাদের ছেড়ে কথা বলেননি সন। গ্রেপ্তারের হওয়ার পর আজ দুজনকে সাজা দিয়েছে সিউল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট। স্থানীয় টিভি জানিয়েছে, প্রতারণার জন্য ইয়াংকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতারণায় সহযোগিতা করার জন্য দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ইওংকে।
সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিচারকাজ চলার সময় গত মাসে আদালতে নিজের জবানবন্দী দিয়েছেন সন। বিচারক ইম জিওং বিন বলেছেন, সনের সুনাম নষ্ট করার জন্য বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ইয়াং ও ইওং। তাই এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাদের।
২ প্রতারককে কারাদণ্ড দেওয়া পর জিওং বিন বলেন, ‘এটাকে কেবল হুমকি বা অর্থ দাবির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখার সুযোগ নেই। প্রতারকরা আরও বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল। যেমন সংবাদমাধ্যম এবং বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলোকে অবহিত করেছে। তাদের পরিকল্পনা ছিল সনের মতো একজন পরিচিত মুখকে কাজে লাগানো। মামলাটি প্রকাশ্যে আসার ফলে সন যথেষ্ট মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়েছিলেন।’
ইয়াংয়ের যুক্তি সঠিক মনে হয়নি সিউল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের কাছে। এ প্রসঙ্গে জিওই বিন বলেন, ‘গর্ভাবস্থার কথা জানার পর ইয়াং যাচাই করেননি যে এটি কার সন্তান। যদিও ইয়াং বলেছিলেন যে তিনি বিশ্বাস করেন যে ভ্রূণটি সনের। তার সাক্ষ্য অসঙ্গতিপূর্ণ ছিল। তাই এটা মেনে নেওয়া কঠিন।’