তৃতীয় ধাপে টিকিট বিক্রি শুরুর প্রথম ২৪ ঘণ্টায় আবেদন পড়েছে ৫০ লাখেরও বেশি। এই পরিসংখ্যানই বলে দেয় ২০২৬ বিশ্বকাপ টিকিটের চাহিদা কেমন। তুমুল চাহিদার সঙ্গে সমালোচনাও আছে বেশ। অস্বাভাবিক দাম হওয়ায় বিশ্বকাপ টিকিট নিয়ে ফিফাকে ধুঁয়ে দিচ্ছেন সমর্থকরা। এই ইস্যুতে বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে মন্তব্য করেছে ফুটবল সাপোর্টার্স ইউরোপ (এফএসই)।
বিশ্বকাপের টিকিটের মাত্রাতিরিক্ত দাম নিয়ে এবার মুখ খুললেন নিউইয়র্কের মেয়র জোহরান মামদানি। ফিফার সমালোচনা করতে ছাড়েননি তিনি। সেই সঙ্গে নিউইয়র্কবাসীর জন্য টিকিটের দাম কমাতে ফিফার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ফাইনালসহ মোটা আটটি ম্যাচ হবে এই শহরে।
মামদানি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর হলো নিউইয়র্ক। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এখানকার মানুষের উত্তেজনা অনেক বেশি। কিন্তু টিকিটের দাম তো অনেক বেশি। ফিফা চাহিদা ও সময়ের উপর ভিত্তি করে বারবার দাম বাড়াচ্ছে। আমি বলতে চাই, স্থানীয় দর্শকদের জন্য যেন ছাড় দেওয়া হয়। ইতিপূর্বে বিভিন্ন বিশ্বকাপে আমরা সেটাই দেখেছি।’
নিউইয়র্ক মেয়রের চাওয়া, টিকিটের অস্বাভাবিক দামের জন্য যেন আগ্রহী কেউকে ঘরে বসে খেলা দেখতে না হয়, ‘আমার আহ্বান থাকবে, সমর্থকদের জন্য যেন নির্দিষ্ট সংখ্যক টিকিট সংরক্ষণ করা হয়। ফিফা কিছু টিকিট নির্দিষ্ট দামে বিক্রি করবে। এটা দর্শকদের জন্য সুখবর। এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। বিশ্বকাপ কেবল পর্দায় দেখার জন্য হোক আমরা সেটা চাই না। আমরা চাই মানুষ মাঠে বসে খেলা দেখুক, গ্যালারিতে ভীড় থাকুক।’
আগামী ১১ জুন শুরু হবে বিশ্বকাপ ফুটবলের ২৩ তম আসর। গ্রুপ পর্বের বিভিন্ন ম্যাচের টিকিটের মূল্য সর্বনিম্ন ১৮০ ডলার থেকে ৭০০ ডলারের মধ্যে। অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২১ হাজার ৯৫৫ থেকে ৮৫ হাজার ৩৮৪ টাকা।
১৯ জুলাই নিউইয়র্কের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ দেখতে ভক্তদের খরচ করতে হবে আরও অনেক বেশি অর্থ। ফাইনালের সবচেয়ে কম দামি টিকিটের জন্য খরচ করতে হবে ৪ হাজার ১৮৫ ডলার বা ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। সবচেয়ে দামি টিকিট কেনার জন্য গুনতে হবে ৮ হাজার ৬৮০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১০ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬৪ টাকা।