ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি (আইএল টি–টোয়েন্টি) খেলতে গিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন তাসকিন আহমেদ। অবশেষে অপেক্ষা ফুরাল তাঁর। গতকাল শারজা ওয়ারিয়র্সের হয়ে ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে দুইশতম ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করেন এই বাংলাদেশি পেসার।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে তাসকিনের পথচলা শুরু হয় ২০১৩ সালে। সে বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চিটাগং কিংসের হয়ে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে অভিষেক হয় এই পেসারের। দেখতে দেখতেই এই সংস্করণে ২০০ তম ম্যাচ খেলে ফেললেন। বাংলাদেশের হয়ে ৮৬টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তাসকিন।
২০০ টি-টোয়েন্টির ১৯৬ ইনিংসে তাসকিনের শিকার ২৬০ উইকেট। এর মধ্যে বাংলাদেশের জার্সিতে নিয়েছেন ১০৬ উইকেট। ওভারপ্রতি গড়ে ৭.৯৩ রান খরচ করেছেন তিনি। বোলিং গড় ২১.৪৩।
তাসকিনের মাইলফলকের ম্যাচে ভাইপার্সের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে ওয়ারিয়র্স। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় তাদের পুঁজি ছিল মাত্র ৯০ রানের। মামুলি পুঁজি নিয়েও প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের কাঁপিয়েছেন তাসকিন। ৪ ওভারে ২০ রানে ২ উইকেট তুলে নেন ঢাকা এক্সপ্রেস। এই পরিসংখ্যানই বলছে, এদিন বল হাতে কতটা দুর্দান্ত ছিলেন তাসকিন। মূলত তাঁর আগুনে বোলিংয়ের কারণেই সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কিছুটা বিপদে ছিল ভাইপার্স। তবে স্কোরবোর্ডে পর্যাপ্ত রান না থাকায় শেষ রক্ষা হয়নি ওয়ারিয়র্সের।
ওয়ারিয়র্সের হয়ে এটা ছিল তাসকিনের চতুর্থ ম্যাচ। আগের তিন ম্যাচে ৪ উইকেট নিলেও খরুচে বোলিং করেছেন। ভাইপার্সের বিপক্ষে ঠিকই নিজের জাত চেনালেন তাসকিন। ২০০ তম ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শের পর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে তাসকিনের এডমিন লিখেছেন, ‘নিজের স্টাইলে ২০০ তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। দারুণ বোলিংয়ে (৪-০-২০-২) তাসকিন আহমেদ এটা স্মরণীয় করে রাখল। মাইলফলকের ম্যাচকে দারুণ পারফরম্যান্সে পরিণত করেন।’