শেষ মুহূর্তে রক্ষণ সামলাতে না পারার পুরোনো রোগই আবার কাল হয়ে দাঁড়াল। বাংলাদেশের মুখের কাছ থেকে জয়ের সমান এক ড্র কেড়ে নিয়ে দিনশেষে উৎসবে মেতে উঠল হংকং। এক হিসেবে জয়টা বরং উপহার দিয়েছে বাংলাদেশই। রক্ষণের ভুলগুলো তাই মেনে নিতে পারছেন না কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
হামজা চৌধুরীর গোলে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দারুণ। তা নিভে যেতে থাকে দ্রুতই। রক্ষণের ভুলের সুযোগ নিয়ে পিছিয়ে থেকেও এগিয়ে যায় হংকং। তাদের প্রথম গোলটি ছিল ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের ভুলের কারণে। কর্নার ক্লিয়ার করতে গিয়ে উল্টো এভেরতন কামারগোকে বল দিয়ে দেন তিনি। ফলাফল কী হলো তা না বলাই বরং ভালো হবে।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হওয়ার পর সোহেল রানা জুনিয়রের অদ্ভুত ব্যাকপাসের মাশুল দিতে হয় গোল হজম করে। তৃতীয় গোলটি আসে সাদ উদ্দিনের বোকা বনে যাওয়ার কাণ্ডতে। সহজেই তাঁর দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে বক্সে থাকা রাফায়েল মেরকিয়েসের উদ্দেশে বল বাড়ান এভেরতন। মেরকিয়েস গোল করতে কোনো ভুল করেননি আগেরটির মতো। জয়সূচক গোলে নিজের হ্যাটট্রিকের আনন্দে মাতেন এই ফরোয়ার্ড।
জাতীয় স্টেডিয়ামে ৪–৩ গোলের দুঃস্বপ্নের হারের পর ভুল নিয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে কাবরেরা বলেন, ‘প্রথম দুটি গোলে একেবারেই নিজেদের ভুল ছিল। এমন ভুল যা এই পর্যায়ে হওয়া উচিত নয়। যদি আমরা পরবর্তী ধাপে যেতে চাই, তাহলে এই ধরনের ভুল আর চলবে না। আমরা পরবর্তী ধাপের কাছাকাছি পর্যায়ে আছি। এমন ভুলের পর ঘুরে দাঁড়ানোটা কঠিন। তারপরও আমরা ৩-১ থেকে ফিরে এসেছি ৩-৩ এ। শেষ দিকে আমাদের আরও আক্রমণাত্মক হওয়া উচিত ছিল।’