বহুল আলোচিত লাতিন-বাংলা সুপার কাপ শেষ পর্যন্ত রূপ নিয়েছে বিব্রতকর বিশৃঙ্খলায়। মাঝপথে বাতিল হওয়া টুর্নামেন্টটির রেশ এখনো কাটেনি। কাটবেই বা কী করে, অব্যবস্থাপনা যে এর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে। দেশের ফুটবল ইতিহাসকেও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলছে তা। কালকের মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক না হলে আয়োজক প্রতিষ্ঠান এএফ বক্সিং প্রমোশনের বিপক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)।
১১ ডিসেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার আতলেতিকো চার্লোন ও ব্রাজিলের সাও বের্নার্দোর মধ্যকার নির্ধারিত ফাইনাল ম্যাচ বাতিল হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করে। টুর্নামেন্ট স্থগিতের পর দুই বিদেশি দলই ১২ ডিসেম্বর নির্ধারিত ফ্লাইটে দেশে ফিরতে পারেনি। অভিযোগ রয়েছে, আয়োজকেরা বিমান টিকিট ও হোটেল বিল পরিশোধ না করায় এই বিপত্তি ঘটে। আর্জেন্টিনার ক্লাবকে গতকাল হোটেল পরিবর্তন করতে হয়। এখন পর্যন্ত হোটেলেই আটকে আছে তারা। কাল তাদের সম্ভাব্য ফ্লাইট।
এনএসসির নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম আজ বাফুফে ভবনে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘একটা দেশের খেলোয়াড়দের ডেকে এনে এভাবে আপনি রাস্তায় ছেড়ে দেবেন, টিকিট দেবেন না, এইটা তো আপনার ছেলেখেলা নয়। আমরা তাদেরকে সময় দিয়েছি যে আজকের টিকিটের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। এই টিকিটের ব্যবস্থা যদি উনারা না করে দেয়, উপদেষ্টা মহোদয় আছেন, সচিব মহোদয় আছেন, তাদের সঙ্গে আলাপ করে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’
গতকাল ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সাও বের্নার্দোর কোচ এদসনও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জানিয়েছেন বাংলাদেশের আসার আগে দুবার ভাববেন তারা। এদসনের ভাষ্য অনুযায়ী, বিমানবন্দরে চেক–ইনের সময়ই ব্রাজিলিয়ান দল জানতে পারে তাদের ফেরার টিকিট বাতিল করা হয়েছে। কোনো সমাধান না পেয়ে ক্লাবটিকে অতিরিক্ত খরচে নতুন করে টিকিট কিনতে বাধ্য হতে হয়।
গত ৫ ডিসেম্বর শুরু হয় লাতিন বাংলা সুপার কাপ। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ক্লাবের সঙ্গে খেলার জন্য বাফুফে রেড অ্যান্ড গ্রিন ফিউচার স্টার নামে একটি দল পাঠায়। টুর্নামেন্টের আয়োজক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্লাব ও দর্শকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগ উঠেছে শুরু থেকেই। জাতীয় স্টেডিয়ামে বিশৃঙ্খলা এবং বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীদের দ্বারা সাংবাদিকদের ওপর শারীরিক লাঞ্ছনার ঘটনার পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) জাতীয় স্টেডিয়ামের বরাদ্দ বাতিল করে দেয়।