ঘরের মাঠের চেনা কন্ডিশন হলেও বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সিলেটে আজ শুরু হওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়ের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চোখে সর্ষেফুল দেখতে থাকে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে ৫০ রান ওঠার আগেই দুই ওপেনারকে হারায় স্বাগতিকেরা।
সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়—দুই ওপেনারকে হারানোর পর লাঞ্চের আগে আর কোনো বিপদ ঘটেনি বাংলাদেশের। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে অভিজ্ঞ মুমিনুল হকের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে প্রথম সেশনের বাকি অংশ নিরাপদে পার করেছে স্বাগতিকেরা। ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ৮৪ রান করে মধ্যাহ্নভোজে গেছে স্বাগতিকেরা। শান্ত তুলনামূলক আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেও মুমিনুল টেস্ট মেজাজেই খেলছেন।
সিলেটে আজ টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। ধীরেসুস্থে শুরু করলেও উদ্বোধনী জুটি ভেঙে গেছে ২৪ রানে। নবম ওভারের চতুর্থ বলে নিয়াউচির অফস্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে যান সাদমান ইসলাম। গালি অঞ্চলে ডাইভ দিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন ব্রায়ান বেনেট। ২৩ বলে ১ চারে ১২ রান করেন সাদমান। এক ওভার বিরতিতে এসে বাংলাদেশের আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে ফিরিয়েছেন নিয়াউচি। অফস্টাম্পের এত বাইরের বল যেখানে ছাড়লেই চলত, সেখানে খোঁচা মেরেছেন জয়। ক্যাচ ধরেন জিম্বাবুয়ে উইকেটরক্ষক নিয়াশা মায়োভো। জয় করেছেন ১৪ রান।
দুই ওপেনারের বিদায়ে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ১০.৪ ওভারে ২ উইকেটে ৩২ রান। মুহূর্তেই সেটা ৩ উইকেটে ৩২ রান হতে পারত। ১২তম ওভারের তৃতীয় বলে মুমিনুলের গ্লাভসে লেগে বল বাতাসে ভাসলেও সেটা তালুবন্দী করতে পারেননি মায়োভো। মুমিনুল তখন রানের খাতাই খুলতে পারেননি। যে নিয়াউচিকে সামলাতেই বাংলাদেশ হিমশিম খাচ্ছে, জিম্বাবুয়ের এই পেসারের ওভার থেকে শান্ত এরপর নিয়েছেন ১০ রান। ১৩তম ওভারের চতুর্থ ও ষষ্ঠ বলে দুটি চার মারেন শান্ত।
নিয়াউচিকেই আজ অবশ্য পেয়ে বসেছেন শান্ত। বাংলাদেশ অধিনায়ক এখন পর্যন্ত যে পাঁচটি চার মেরেছেন, সবই নিয়াউচির বিপক্ষে। ২১তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে পরপর দুটি চার মারেন শান্ত। লাঞ্চের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ অধিনায়ক ৪৩ বলে করেছেন ৩০ রান। মুমিনুল ২১ রান করেছেন ৪৬ বল খেলে।
আরও পড়ুন: