সিলেট টাইটান্সের ম্যাচটা একেবারে হাতের নাগালেই ছিল। হাতে ৫ উইকেট নিয়ে ১৫ বলে ১৯ রানের সমীকরণ জটিল কিছু তো নয়। কিন্তু মেহেদী হাসান রানার হ্যাটট্রিকে ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় নোয়াখালী এক্সপ্রেস। ম্যাচটা শেষ বল পর্যন্ত নিলেও হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ইনিংসের ১৮তম ওভারের সময় বোলিংয়ে আসেন রানা। ওভারের চতুর্থ বলে সিলেট অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজকে (৩৩) ফেরান রানা। সেট ব্যাটার মিরাজের উইকেট নেওয়ার পর শেষ দুই বলে রানা ফিরিয়েছেন নাসুম আহমেদ ও সৈয়দ খালেদ আহমেদকেও। রানার হ্যাটট্রিকে ২ ওভারে ১৯ রানের সমীকরণের সামনে পড়ে সিলেট টাইটান্স। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে শেষ বলের রোমাঞ্চে ১ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিলেট।
সিলেট টাইটান্সের বিপক্ষে হারের পর নোয়াখালী এক্সপ্রেসের প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে আসেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। শেষ মুহূর্তে এভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর পরও ম্যাচ জিততে না পারার আক্ষেপ ঝরেছে তাঁর কণ্ঠে। সংবাদ সম্মেলনে ২৬ বছর বয়সী এই মিডল অর্ডার ব্যাটার বলেন, ‘এমন কন্ডিশনে নতুন ব্যাটারের জন্য খেলা কঠিন ছিল। সব সময় বিশ্বাস ছিল ব্রেক থ্রু এনে দিলে ভালো করতে পারব। তবে কিছুটা দুর্ভাগা যে ম্যাচটা জিততে পারিনি।’
টস হেরে গতকাল আগে ব্যাটিং পেয়ে ১.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৯ রানে পরিণত হয় নোয়াখালী এক্সপ্রেস। পাঁচ নম্বরে নামা অঙ্কন একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন। ৫১ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৬১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। নোয়াখালীর স্কোরবোর্ডে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৩ রান হওয়ার পেছনে অঙ্কনের এই ইনিংসটা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। সিলেটের কাছে হারের পর অঙ্কন বলেন, ‘এমন কন্ডিশনে প্রথম ৩-৪ ওভার একটু কঠিন। বল বেশি মুভ করে।’
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ম্যাচ শেষ করতে না পারায় একজন ফিল্ডারকে বৃত্তের মধ্যে আনতে হয়েছিল নোয়াখালী এক্সপ্রেসের। এটাও তাদের ম্যাচ হারার কারণ বলে মনে করেন অঙ্কন। সিলেটের কাছে ১ উইকেটে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ওভাররেটে আমরা পিছিয়ে ছিলাম। তাই বাড়তি ফিল্ডার ভেতরে আনতে হয়েছে। শিশিরের জন্য বোলারদের জন্যও কঠিন ছিল। ম্যাচ জিততে পারব বলে বিশ্বাস ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত পারিনি।’
পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে হাতে ২ উইকেট নিয়ে সিলেট টাইটান্স গতকাল ১৩ রানের সমীকরণের সামনে এসে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতেও দল আশা হারায়নি বলে জানিয়েছেন সিলেটের পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ। নোয়াখালীর বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে খালেদ বলেন, ‘আমাদের ইথান ব্রুকস ছিল আর তাদের (নোয়াখালী) সাব্বির হোসেন ছাড়া বিকল্প ছিল না। আমরা তাই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’ ৪ ওভারে ২৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন খালেদ। যার মধ্যে রয়েছে নোয়াখালীর দুই টপ অর্ডার ব্যাটার হাবিবুর রহমান সোহান ও হায়দার আলীর উইকেট। নবাগত নোয়াখালী দুই ম্যাচের দুটিতেই হেরেছে।