করোনার ধাক্কায় গতবারের প্রস্তাবিত ক্রীড়া বাজেটে কমেছিল ৩৫৬ কোটি টাকা। মহামারির ধাক্কা সামলে স্বাভাবিক নিয়মে ফিরেছে ক্রীড়াঙ্গন। সেটির ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজেটেও। ক্রীড়া খাতে আগের বছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে এবার প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে ১৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
২০২১-২২ অর্থবছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ১ হাজার ১২২ কোটি টাকা। তবে বছর শেষে সেই বাজেটের বাইরে বাড়তি খরচ হয়েছে ১৬৪ কোটি টাকা। সংশোধনী বাজেট মিলিয়ে গত অর্থবছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় পেয়েছে মোট ১ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা। সেই তুলনায় এবার প্রস্তাবিত বাজেটেই শুধু ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য ১২৮২ দশমিক ৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে বেড়েছে পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয়ের পরিমাণও।
বাজেট বক্তৃতায় ক্রীড়া বাজেট নিয়ে অর্থমন্ত্রী গতকাল বলেছেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নের ৮টি প্রকল্প চলমান রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প। পাশাপাশি দক্ষ খেলোয়াড় তৈরির লক্ষ্যে দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দ্বারা খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ, গ্রামীণ খেলাধুলার মান উন্নয়নে কার্যক্রম গ্রহণ ও প্রতিভা অন্বেষণের মাধ্যমে প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজে বের করে তাদের দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
গতবারের প্রস্তাবিত বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ছিল ২৮০ কোটি টাকা। এবারের অর্থবছরে ১২৬ কোটি টাকা বাড়িয়ে মোট উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০৬ কোটি টাকা। এই অর্থ এবার খেলাধুলা আয়োজন ও খেলোয়াড়-কোচদের প্রশিক্ষণের পেছনে খরচ করতে চায় মন্ত্রণালয়, আজকের পত্রিকাকে গত পরশু সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। ব্যয় বেড়েছে প্রশাসনিক খাতেও। এবারের পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৭৬ কোটি টাকা।