তাঁর কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল দিকের কথা বললে বাংলাদেশের নামই উঠে আসবে সবার প্রথমে। ২০১৫ সালে বিদায় নেওয়ার পর কোচিংয়ের চেয়ে তিনি বেশি জড়িত ছিলেন পারিবারিক ব্যবসায়। সেই ডাচ কোচ লুডভিক ডি ক্রুইফ আবার আলোচনায় দেশের ফুটবলে।
গুঞ্জন উঠেছে, বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পদে ১০ বছর পর বাংলাদেশে ফিরতে যাচ্ছেন ডি ক্রুইফ। তবে বাফুফে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর কাছে এখন পর্যন্ত কোনো প্রস্তাব পাঠায়নি। বাফুফের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান কামরুল হাসান হিলটন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডি ক্রুইফের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা হয়ে থাকতে পারে। প্রয়োজন থাকলে কর্তৃপক্ষ কথা বলতে পারে। তবে সেটা এখন পর্যন্ত অনানুষ্ঠানিক। আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কথাই হয়নি। আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলার কোনো সত্যতা নেই। তাঁকে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে কোনো চুক্তিও হয়নি।’
আজ সাতটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাফুফে। সেখানে নেই টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের পদ। তবে নেওয়া হবে অতিরিক্ত টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। এছাড়া ডেভলেপমেন্ট কোচ (নারী ও পুরুষ), জাতীয় দলের গোলকিপিং কোচ, ফিটনেস কোচ ও ফিজিওথেরাপিস্ট ও হেড অব কোচিং এডুকেশন খুঁজছে বাফুফে।
বর্তমানে বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে আছেন সাইফুল বারী টিটু। মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত। তাঁর চুক্তি বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে হিল্টন বলেন, ‘টিটু ভাইয়ের মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে এখনো আমি কোনো কাগজে স্বাক্ষর করিনি। কারণ প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। সেক্রেটারি ২৬ জুন ঢাকায় ফিরবেন। টিটু ভাইয়ের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত। এর ভেতরেই কিছু একটা হবে। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে উপযুক্ত কাউকে না পেলে, টিটু ভাইয়ের মেয়াদ আমরা আরও ৬ মাসের জন্য বাড়াব।’