হোম > খেলা > ক্রিকেট

‘ইচ্ছে করেই পাকিস্তানকে এবার জিতিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ’

ক্রীড়া ডেস্ক    

সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৭৪ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। ছবি: ক্রিকইনফো

বাংলাদেশের কাছে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি হেরে আগেই সিরিজ খুইয়েছিল পাকিস্তান। তখন পাকিস্তান দলকে রীতিমতো ধুইয়ে দিয়েছিলেন শোয়েব আখতার, কামরান আকমালের মতো দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররা। পাকিস্তান ধবলধোলাই এড়ানোর পরই যেন বদলে গেল সবকিছু।

দ্বিপক্ষীয় সিরিজের উইকেট স্বাগতিক দলের ‘রেসিপি’ মেনেই যে হয়, সেটা না বললেও চলছে। বাংলাদেশও কোনো দলকে আতিথেয়তা জানালে মিরপুরে চিরায়ত বোলিংবান্ধব উইকেট বানিয়ে থাকে। ব্যাটারদের বধ্যভূমিতে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান অলআউট হয়েছিল ১১০ ও ১২৫ রানে। সেই মিরপুরে গতকাল তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিংবান্ধব উইকেট পেয়ে সালমান আলী আঘার দল টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়ে ৭ উইকেটে ১৭৮ রান করেছে। যেখানে ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান ৪১ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৩ রান করে পেয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার। ১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ১৬.৪ ওভারে ১০৪ রানে গুটিয়ে যায়।

পাকিস্তান ৭৪ রানে জিতে ধবলধোলাই এড়ানোর পর পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলী নিজের ইউটিউব চ্যানেলে কথা বলেছেন। তাঁর মতে পাকিস্তানের কৃতিত্ব যতটা, সেটার চেয়ে বাংলাদেশের ‘পরোপকারী মনোভাব’ই এখানে বেশি অবদান রেখেছে। বাসিত বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটারের শরীরী ভাষা দেখে একটা জিনিস সহজেই বোঝা গেছে। যেন পাকিস্তানকে তারা (বাংলাদেশ) বলেছে, ‘‘চল ভাই, একটা ম্যাচে তোমরা জিতে যাও।’’ কামরান আকমলও কথা বলেছেন বাসিতের সুরে। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আকমল বলেন, ‘তৃতীয় ম্যাচ পাকিস্তান জিতেছে ঠিকই। তবে মনে হয়েছে বাংলাদেশ যেন ইচ্ছে করেই সুযোগ করে দিয়েছে।’

শেষ টি-টোয়েন্টির একাদশে বাংলাদেশ এনেছে পাঁচ পরিবর্তন। পারভেজ হোসেন ইমন, তাওহীদ হৃদয়, রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব—স্বাগতিকেরা এই পাঁচ ক্রিকেটারকে দেয় বিশ্রাম। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে একাদশে আসেন তানজিদ হাসান তামিম, নাসুম আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। যেখানে মিরাজ-তানজিদ তামিম ছাড়া বাকি তিনজনের টুকটাক অবদান ছিল এই ম্যাচে। তাসকিন ও নাসুম নিয়েছেন ৩ ও ২ উইকেট। যেখানে নাসুম নিয়েছেন ২ উইকেট। একটা পর্যায়ে পাকিস্তানের স্কোর ৮ ওভারে ১ উইকেটে ৮২ রান থাকলেও তাদের স্কোরবোর্ডে ২০০ রান জমা করতে পারেনি।

১৭৯ রান তাড়া করতে ৬৫ রানে ৮ উইকেট হারানো বাংলাদেশের তখন দলীয় সেঞ্চুরিই অনেক দূরের পথ মনে হচ্ছিল। আট নম্বরে নামা সাইফউদ্দিনের ৩৪ বলে ৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংসেই কোনোরকমে ১০০ পেরোয় বাংলাদেশ। শেষ টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের একাদশ দেখে বাসিত বলেন, ‘বাংলাদেশের মোস্তাফিজ খেলেনি, রিশাদ খেলেনি। তবু মনে হয়নি যে এটা দ্বিতীয় সারির দল। তাদের শরীরী ভাষা, আগ্রাসী মনোভাব-আরও বেশি পরিণত ছিল।’

২০১৫ ও ২০২৪ সালে পাকিস্তানকে ওয়ানডে ও টেস্টে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ। এবার টি-টোয়েন্টিতে ধবলধোলাই করে তিন সংস্করণেই তাদের এমন কিছু উপহার দেওয়ার সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। তবে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সেটা পারেনি লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। টানা চার টি-টোয়েন্টি জয়ের পর অবশেষে মিরপুরেই থামতে হলো লিটনদের।

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার ‘বিশেষ ব্যবস্থা’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অধিনায়ক বদলাল শ্রীলঙ্কা

বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল পাকিস্তান, ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের কী হবে

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

হেডের সেঞ্চুরিতে বড় লিডের পথে অস্ট্রেলিয়া

লুসাইলে ফিরল আর্জেন্টিনার স্মৃতি, মরক্কোকে রাষ্ট্রপ্রধানের অভিনন্দন

কনওয়ের ডাবল সেঞ্চুরি, মাউন্ট মঙ্গানুইতে ব্যাটারদের দাপট

সবার আগে বিশ্বকাপের দল দিল পাকিস্তান

ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোকাহত বিসিবি-বাফুফে

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সেমিফাইনাল দেখবেন কোথায়