দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করেছেন সাগরিকা। বাংলাদেশের মেয়েরা আবারও জিতেছেন সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। হ্যাটট্রিকের প্রথম গোল ও জয় সাগরিকা উৎসর্গ করেছেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতদের প্রতি।
সাগরিকা ম্যাচ শেষে বলেন, ‘আমি প্রথমে যে গোলটা করেছি, সেটা তাদের উৎসর্গ করেছি। আসলে দুঃখজনক যে বিমান দুর্ঘটনায় অনেকে মারা গেছে, অনেকে আহত হয়েছে। আমরা সবাই শোকাহত। খুব কষ্ট লাগছে যে বাংলাদেশে এমন একটা ঘটনা ঘটেছে।’
টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলেছেন। করেছেন ৮ গোল। ফাইনালে হয়েছেন সেরা। নিজের সাফল্য নিয়ে সাগরিকা বলেছেন, ‘আসলে অনেক ভালো লাগছে। এখন ফুটবল সবাই দেখছে। বাংলাদেশের লোকজন যদি এভাবে সমর্থন দিয়ে যায়, আমরা এগিয়ে যাব।’
লাল কার্ড দেখে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকতে হয় সাগরিকাকে। কিন্তু সেটা গোলের ক্ষুধা দমিয়ে রাখতে পারেনি। বললেন, ‘অবশ্যই একটু মন খারাপের কথা। আমি যদি তিনটা ম্যাচ খেলতে পারতাম, তাহলে সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারতাম। তিন ম্যাচ না খেলার পরও সেরা খেলোয়াড় হয়েছি। তাতে অনেক খুশি।’
নেপালের সিমরান রায়ের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে লাল কার্ড দেখেছিলেন সাগরিকা। তাঁর মনের ভেতর ছিল জেদ, ‘আসলে ওই ঘটনার পর আমার একটা জেদ কাজ করছিল ভালো করার। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা পেয়েছি। আমাদের স্ট্রাইকারদের শান্ত থাকতে হবে।’
বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় বাংলাদেশের হেড কোচ পিটার বাটলারের মনেও নেই আনন্দ, ‘এটা উদ্যাপনের সময় নয়, যখন কেউ তার প্রিয়জন বা সন্তানকে হারায়। আমরা নিহত ও আহত ব্যক্তিদের জন্য প্রার্থনা করি।’