বাড়িতে টিভি ছিল না। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা খেলোয়াড় হওয়ায় মোসাম্মৎ সাগরিকার ঘরে পৌঁছে যায় দুটি টিভি। তবু গ্যালারিতে বসে মেয়ের খেলা দেখার আনন্দই অন্য রকম। সাগরিকার বাবা লিটন আলীও চেয়েছিলেন তা। কিন্তু জটিলতার কারণে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় আসতে পারেননি তিনি।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় গতকাল নেপালকে ৪-০ গোলে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। সাগরিকা একাই সেই ম্যাচে করেন সব গোল। এর আগে অবশ্য ৩ ম্যাচ নিষিদ্ধ ছিলেন তিনি। তবে গোলের ক্ষুধা দমে যায়নি তাঁর। পেয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। যা শুনে উচ্ছ্বসিত তাঁর বাবা।
আজ টিম হোটেলে সাংবাদিকদের সাগরিকা বলেন, ‘আমার খেলা দেখতে বাবা ঢাকায় আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঢাকায় থাকার কোনো জায়গা নেই বলে তিনি আসেননি। আর মাও একটু অসুস্থ ছিলেন। তারপরেও সেরা ফুটবলার হওয়াতে আমার বাবা অনেক খুশি।’
জাতীয় দলে অনেকটা সময় বেঞ্চেই কাটাতে হয় সাগরিকাকে। শুরুর একাদশে নিয়মিত থাকার বিষয়টি ছেড়ে দিলেন কোচ পিটার বাটলারের ওপর। তিনি বলেন, ‘আমি কেমন পারফরম্যান্স করছি, তা তো নিজে বলতে পারব না। এটা নির্ভর করছে কোচের ওপর। কোচের যদি মনে হয় যে আমি ভালো পারফরম্যান্স করতেছি, আমাকে সেরা একাদশে নামানো উচিত, তাহলে আমি ভালো কিছু করতে পারব। আর যদি না মনে হয়, এটা তো আর কিছু করার নাই।’
আত্মবিশ্বাসী সাগরিকা আরও বলেন, ‘অবশ্যই আমার আত্মবিশ্বাস আছে সিনিয়র দলে খেলার। আপুদের মতো খেলতে পারি না। তবে তারচেয়ে বেটার পারফরম্যান্স করলে অবশ্যই একদিন শুরুর একাদশে থাকতে পারব।’
ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার নেইমারকে অনুসরণ করা সাগরিকা মুগ্ধতা ছড়াতে চান ড্রিবলিংয়ে, ‘আমার আগে ড্রিবলিং স্কিল একটু কম ছিল। এখন আগের চেয়ে একটু বেটার করেছি।’