১২তম বিপিএল শুরু হতে আর মাত্র এক সপ্তাহের অপেক্ষা। ২৬ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে নতুন মৌসুমের বিপিএল। লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, তাসকিন আহমেদরা ২৮ দিনের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়বেন বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে। তবে এই টুর্নামেন্টে পুরোটা সময় নাও খেলতে পারেন লিটনরা।
সিলেটে শুরু হয়ে নতুন মৌসুমের বিপিএলের ফাইনাল হবে ২৩ জানুয়ারি। বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট শেষ হতে না হতেই লিটন-তাসকিনদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্বকাপের প্রথম দিনেই বাংলাদেশের ম্যাচ রয়েছে। টানা ম্যাচ খেলার ধকল সামলে নিজেদের সেরাটা দেওয়া তো চাট্টিখানি কথা নয়। সেই চাপ যেন না পড়ে, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করে রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মিরপুরে আজ সাংবাদিকদের বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীস বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে একজন ট্রেনার পুরো বিপিএল দেখভাল করবেন। জাতীয় দলে নিয়মিত ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট হবে জিপিএসের মাধ্যমে। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে যদি কোনো ক্রিকেটার রেড জোনে থাকে, সেই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সেটা জানিয়ে দেওয়া হবে। সেই ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিতে হবে।’
বিশ্রাম নীতি অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাসকিনকে টানা দুই ম্যাচে বেশির ভাগ সময়ই খেলানো হয় না। শুধু তাসকিনই নন, লিটন-হৃদয়দের ওপর বাড়তি যেন চাপ না পড়ে সেটা জাতীয় দলের ফিজিও এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির ফিজিওরা তত্ত্বাবধান করবেন বিপিএলে। মিরপুরে আজ সাংবাদিকদের শাহরিয়ার নাফীস বলেন, ‘জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে পুরো বিপিএলেই ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কাজ করব। এই কাজটা হবে বাইরের থেকে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফিজিও-ট্রেনাররা সার্বক্ষণিক সেই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তাঁরা নিজেরাই সমন্বয় করবেন এই ব্যাপারটা।’
এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় নাঈম শেখকে কিনেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯২ লাখ টাকা দাম উঠেছে হৃদয়ের। তাঁকে কিনেছে রংপুর রাইডার্স। একই দল লিটনকে কিনেছে ৭০ লাখ টাকায়। তাসকিনকে সরাসরি চুক্তিতে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। এই বিপিএলেই প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। তবে সর্বোচ্চ চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। নেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালও। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালকেও দেখা যাবে না ২০২৬ বিপিএলে।