হার দিয়ে বিপিএল শুরু করা দুই দলের লড়াইয়ে নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে সিলেট টাইটানস। উত্তেজনাপূর্ণ খেলায় মেহেদী হাসান রানার হ্যাটট্রিকের পরও সিলেট জিতেছে ১ উইকেটে। গতকাল সিলেটে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৪৩ রান তোলে নোয়াখালী। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে জয়ের প্রয়োজনীয় রান তুলে ফেলে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটেরও। দলীয় ৩৪ রানে সিলেট হারিয়ে ফেলে তিন ব্যাটারকে। এরপরই অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে পারভেজ হোসেন ইমনের প্রতিরোধ। চতুর্থ উইকেটে ৬৬ বলে ৮৩ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। যখন তাঁরা উইকেটে ব্যাট করছিলেন, তখন মনে হয়েছিল সহজ জয়ই পেতে যাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু এরপরই ঘটে বিপত্তি। ৬টি চার ও ২টি ছয়ে ৪১ বলে ৬০ রান করে ইমন আউট হয়ে যান। এরপর মিরাজ, নাসুম (০) ও খালেদ আহমেদকে (০) ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক করেন মেহেদী হাসান রানা। বিপিএলের ইতিহাসে নবম হ্যাটট্রিক, সিলেটের মাটিতে প্রথম।
রানার হ্যাটট্রিকের পর জয়ের পাল্লা হেলে পড়ে নোয়াখালীর দিকে। কিন্তু শেষ দিকে ১৩ বলে ইথান ব্রুকস ১৬ রান করে দলকে জয়ের দুয়ারে ঠেলে দেন। লেগবাই থেকে আসে সিলেটের জয়সূচক রান।
এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করে নোয়াখালী ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি। দলীয় ৯ রানে মাজ শাদাকাত, হাবিবুর রহমান সোহান ও হায়দার আলীকে হারিয়ে দুঃস্বপ্নের শুরু হয়েছিল নোয়াখালীর। তিনজনের কেউই ব্যক্তিগত রানের খাতা খুলতে পারেননি। এরপর বিরুদ্ধ স্রোতে দাঁড়িয়ে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের প্রতিরোধ। চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে সৈকত আলী (২৪), সাব্বির হোসেন (১৫) ও জাকের আলী অনিককে (২৯) নিয়ে ৩২, ২৯ ও ৬৬ রানের জুটি গড়েন। এক প্রান্ত আগলে রেখে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৫১ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। সিলেটের হয়ে বেশি স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি খেলেছেন জাকের; ৪টি চারে ১৭ বলে করেছেন ২৯ রান। স্ট্রাইকরেট—১৭০.৫৮।
বল হাতে সবচেয়ে সফল পেসার খালেদ আহমেদ; ২৩ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।