মৌসুমের শুরু থেকেই বাংলাদেশ ফুটবল লিগে ঘটছে একের পর এক বিতর্কিত ঘটনা। আজ আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যাচ অদ্ভুতুড়ে এক দৃশ্যই দেখা গেল। সরাসরি থ্রো থেকে গোল! অথচ ফুটবলের নিয়মে এমনটা কোথাও লেখা নেই।
মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে ব্রাদার্সকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আরামবাগ। লিগে জয়খরা কাটিয়ে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে তারা। দুটো গোলই এসেছে ম্যাচের প্রথমার্ধে।
৩২ মিনিটে কাজী রাহাদ মিয়ার লং থ্রো সরাসরি খুঁজে নেয় জাল। যদিও মোহাম্মদ শাওনের দাবি বল তাঁর গায়ে লেগে এরপর জালে প্রবেশ করেছে। কিন্তু গোলদাতার তালিকায় রাহাদ মিয়ারই নাম উঠেছে। অথচ নিয়ম অনুযায়ী, ব্রাদার্সের গোলকিক পাওয়ার কথা ছিল।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে আবারও উচ্ছ্বাসে মাতে আরামবাগ। এবারও গোলের উৎস লং থ্রো। রাহাদের থ্রো ব্রাদার্স ইশাক আলী ফেরানোর চেষ্টা করলেও বল তাঁর হাতে লেগে আশ্রয় নেয় জালে। নিয়ম অনুযায়ী, তা আত্মঘাতী গোল হওয়ার কথা। কিন্তু তা যোগ হয়েছে রাহাদের নামে। বাফুফের দেওয়া ম্যাচ রিপোর্টে এমনই দেওয়া আছে। সেখানে স্বাক্ষর আছে ম্যাচ রেফারি আনিসুর রহমান সাগর ও এস এম সাদাত হোসেন।
আন্তর্জাতিক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ডের আইনের ১৫ তম ধারা অনুযায়ী, সরাসরি থ্রো থেকে গোল করা সম্ভব নয়। থ্রো থেকে বল যদি প্রতিপক্ষের জালে প্রবেশ করে তাহলে গোলকিক দেওয়া হবে। আর বল যদি নিজেদের জালে প্রবেশ করে তখন কর্নার কিক পাবে প্রতিপক্ষ। অথচ ব্রাদার্সের বিপক্ষে আরামবাগের দুটি গোলই লেখা হয় থ্রো নেওয়া রাহাদের নামে।
লিগের আরেক ম্যাচে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফর্টিস এফসি। মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন ওনিয়েকাচি ওকাফোর।