ফরিদপুরী জাতের পেঁয়াজের জাত উন্নয়নে সফল হয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সয়েল, ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের গবেষকরা।
গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নিশান। গত ৫ এপ্রিল গবেষণা মাঠের পেঁয়াজ উত্তোলন করা হয়। গবেষকরা বলছেন, আশানুরূপ ফলন হয়েছে।
এই গবেষণা প্লটের পেঁয়াজের গড় ওজন ৬০-১০০ গ্রাম। গবেষকরা বলছেন, তাদের ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করে কৃষকরা পেঁয়াজ চাষ করলে বর্তমান পেঁয়াজের ফলন ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। এর ফলে দেশ পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সক্ষম, এমনকি এর ফলে পেঁয়াজ উদ্বৃত্ত হতে পারে।
এ ব্যাপারে গবেষণা প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক প্রফেসর মো. সানাউল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে পেঁয়াজের চাহিদা বাৎসরিক ২৪ লাখ টন। উৎপাদন হয় প্রায় ২৩ লাখ ৩০ হাজার টন। পচনসহ ঘাটতি ধরা হয় সাড়ে ৭ লাখ টন। মাটি, জৈবসার ও সেচ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশে উৎপাদন ১০ লাখ টন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা সম্ভব।
এই শিক্ষক ও গবেষক আরও বলেন, একই জমিতে আগাম ও নাবি দু’জাতের পেঁয়াজ চাষ করলে ৪-৫ লাখ টন পেঁয়াজ অতিরিক্ত উৎপাদন করা সম্ভব। কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং চাষ পদ্ধতির উন্নতি করতে পারলে দেশ অচিরেই চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত পেঁয়াজ উৎপাদনে সক্ষম হবে দেশ।