হোম > বিজ্ঞান

৪০০০ আলোকবর্ষ দূরে শ্বেতবামনকে প্রদক্ষিণ করছে আরেক ‘পৃথিবী’

শ্বেত বামনের চারপাশে একটি পৃথিবী আকারের গ্রহ আবর্তিত হচ্ছে। ছবি: ক্যালটেক

সৌরজগৎ থেকে ৪ হাজার আলোকবর্ষ দূরে পৃথিবীর মতো একটি গ্রহ আবিষ্কার করেছেন একদল জ্যোতির্বিজ্ঞানী। এই পাথুরে গ্রহটির ভর পৃথিবীর মতোই এবং এটি শ্বেত বামন তারার চারপাশে আবর্তিত হচ্ছ। সাজেটেরিয়াস নক্ষত্রমণ্ডলীতে এই তারাটি অবস্থিত।

পৃথিবী টিকে থাকার জন্য একটি আশার আলো দেখায় এই আবিষ্কারটি। কারণ এটি ইঙ্গিত দেয় যে, যখন আমাদের সূর্য তার চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রবেশ করবে তখন পৃথিবী হয়তো সম্প্রসারিত হতে থাকা সূর্য থেকে বাঁচতে পারবে। এর ফলে বাইরের সৌরজগতের দিকে মানব জাতির অভিবাসনের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। এর মধ্যে বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপা, ক্যালিস্টো, এবং গ্যানিমেড বা শনি গ্রহের কাছাকাছি এনসেলাডাসের মতো চাঁদগুলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সম্ভাব্য আশ্রয়স্থল হয়ে উঠতে পারে।

শ্বেত বামন কি

একটি ‘শ্বেত বামন’ তারার অবশিষ্টাংশ, যা তার পারমাণবিক জ্বালানি শেষ হওয়ার পর তার বাইরের স্তরগুলো ভেঙে যায়। এটি সূর্যের চূড়ান্ত পরিণতি। সূর্য তার পারমাণবিক জ্বালানি শেষ হলে একটি রেড জায়ান্ট বা লাল দানবে পরিণত হবে, তারপর সংকুচিত হয়ে শ্বেত বামন হয়ে যাবে। এর বিস্তৃতির পরিমাণ নির্ধারণ করবে যে সৌরজগতের কোন কোন গ্রহ এটি গ্রাস করবে। সম্ভবত বুধ এবং শুক্র গ্রহগুলো গ্রাস করবে শ্বেতবামন। তবে পৃথিবীর কী হবে এমন প্রশ্ন রয়ে যায়।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বার্কলি–এর গবেষকেরা হাওয়াইয়ের ‘কেক’ টেলিস্কোপ ব্যবহার করে নতুন একটি সিস্টেম পর্যবেক্ষণ করেছেন, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘কেএমটি–২০২০–বিএলজি–০৪১৪ ’। এই গবেষণাটি নেচার অ্যাস্ট্রোনমি’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

এই সিস্টেমে একটি শ্বেত বামন তারা রয়েছে, যার চারপাশে একটি পৃথিবী আকারের গ্রহ আবর্তিত হচ্ছে। তারা থেকে গ্রহটির দূরত্ব পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বের দ্বিগুণ। গ্রহটির সঙ্গে রয়েছে একটি ‘ব্রাউন ডোয়ার্ফ’ গ্রহ, যার ভর বৃহস্পতির ভরের প্রায় ১৭ গুণ।

এই গবেষণার প্রধান লেখক হলেন স্যান ডিয়েগোতে এরিক ও ওয়েন্ডি শ্মিট এআই ইন সায়েন্স পোস্ট ডক্টরাল ফেলো কেমিং ঝাং। তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা নিশ্চিত নই যে, ছয় বিলিয়ন বছর পর লোহিত দানব সূর্যের গ্রাস হওয়া থেকে পৃথিবী কি বাঁচতে পারবে কীনা। তবে পৃথিবী শুধু এক বিলিয়ন বছর বাসযোগ্য থাকবে। এরপর গ্রিনহাউস প্রভাবের কারণে পৃথিবীর মহাসাগরগুলো উত্তপ্ত হয়ে বাষ্পীভূত হয়ে যাবে। এটি লোহিত দানব সূর্যের দ্বারা গ্রাস হওয়ার ঝুঁকির অনেক আগেই ঘটবে।

যখন সূর্য তার রেড জায়ান্ট বা লাল দানবে পরিণত হবে। তখন সৌরজগতের বাসযোগ্য অঞ্চল বাইরের দিকে সরে গিয়ে বৃহস্পতি এবং শনি গ্রহের কক্ষপথের দিকে চলে যাবে। তাদের অনেক চাঁদ যেমন ইউরোপা এবং ক্যালিস্টো তখন মহাসাগর বিশিষ্ট পৃথিবী হয়ে উঠতে পারে যা জীবনের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম। গবেষক ঝাং বলেছেন, ‘মানবজাতি সেখানে বসবাস শুরু করতে পারে।’

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

জোট বেঁধে শিকার ধরতে ছুটছে কিলার হোয়েল ও ডলফিন, বিস্মিত বিজ্ঞানীরা

ফ্রান্সে সমুদ্রতলে কিংবদন্তির শহর, ৭০০০ বছর আগের বিশাল প্রাচীরের সন্ধান

পূর্বের ধারণারও সাড়ে ৩ লাখ বছর আগে মানুষের আগুন জ্বালানোর প্রমাণ মিলল

২০০ শিশুর জন্মের পর জানা গেল দাতার শুক্রাণুতে ছিল ক্যানসারের জিন

মঙ্গল গ্রহে প্রথমবারের মতো বজ্রপাত শনাক্তের দাবি

কৈশোর থামে বত্রিশে, বার্ধক্যের শুরু ছেষট্টির পর—চিহ্নিত হলো মস্তিষ্কের ৫ পর্যায়

ভূমিকম্পের পর্যায়ক্রম: ফোরশক, মেইনশক ও আফটারশক কী

প্রাণীদের প্রথম চুম্বন ২ কোটি ১০ লাখ বছর পুরোনো

১২ হাজার বছর পুরোনো মূর্তিতে বিশ্বের প্রাচীনতম পৌরাণিক গল্পের চিত্রায়ণ

৪০ হাজার বছর আগে একটি ম্যামথের জীবনের শেষ মুহূর্তের কথা জানলেন বিজ্ঞানীরা