হোম > বিজ্ঞান

পৃথিবীকে রক্ষা অথবা ধ্বংস করতে ধেয়ে আসছে ভিনগ্রহের বস্তু, দাবি হার্ভার্ড বিজ্ঞানীর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

প্রতি দশকে এত বিশাল মাপের পাথুরে বস্তু আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশে দেখা পাওয়া খুবই অস্বাভাবিক। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণায় আবারও চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ অধ্যাপক আভি লোয়েব। তিনি দাবি করেছেন, সৌরজগতের দিকে ধেয়ে আসা ‘৩১ /অ্যাটলাস’ (31 /ATLAS) নামের একটি মহাজাগতিক বস্তু সম্ভবত প্রাকৃতিক নয়, বরং এটি কোনো বুদ্ধিমান সভ্যতার তৈরি করা প্রযুক্তিগত বস্তু হতে পারে। এমনকি তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘এটি আমাদের রক্ষা করতেও আসতে পারে, আবার ধ্বংসও করতে পারে।’

চিলির ডিপ র‍্যান্ডম সার্ভে টেলিস্কোপে সদ্য শনাক্ত হওয়া এই বস্তুর উজ্জ্বলতা বিশ্লেষণ করে লোয়েব বলেন, ‘বস্তুটির ব্যাস প্রায় ২০ কিলোমিটার। প্রতি দশকে এত বিশাল মাপের পাথুরে বস্তু আন্তনাক্ষত্রিক মহাকাশে দেখা পাওয়া খুবই অস্বাভাবিক। এত ভর এক জায়গায় পৌঁছাতে অন্তত ১০ হাজার বছর সময় লাগে।’

বস্তুটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে যখন আমাদের গ্রহটি সূর্যের ঠিক বিপরীত পাশে থাকবে, ফলে আমরা এটিকে সরাসরি দেখতে পাব না। তবে লোয়েবের মতে, এই সময়টাই বস্তুটির গোপনে কোনো কৌশল দেখানোর উপযুক্ত সময় হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘আমরা এটি পর্যবেক্ষণ করতে পারব না, তবে এটাই তার গতিপথ বদলানোর সবচেয়ে ভালো সময়। তাই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’ বস্তুটি কৃত্রিম হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।

লোয়েব ব্যাখা করেন, ‘আমি বলছি না এটা কোনো ভিনগ্রহের প্রাণীর প্রযুক্তি। তবে এটি খুব সাধারণ কিছু মনে হচ্ছে না। আসলে, হাবল টেলিস্কোপে পাওয়া চিত্রে এর চারপাশে একটি আলোর আবরণ দেখা যাচ্ছে, যা সাধারণ ধূমকেতুর ক্ষেত্রে দেখা যায় পেছনে, তবে এখানে তা সামনে। আমরা এ রকম কিছু আগে কখনো দেখিনি, সাধারণ ধূমকেতুর আলো কখনোই সামনে থাকে না।’

লোয়েবের মতে, যেকোনো আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুকে খতিয়ে দেখা আমাদের কর্তব্য; কারণ, এটা ক্ষতিকরও হতে পারে, উপকারীও।

বস্তুটি ২০২৫ সালের জুলাইয়ে প্রথম আলোচনায় আসে, যখন বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হন যে এটি আমাদের সৌরজগতের বাইরের কোনো জায়গা থেকে এসেছে। এর দৈর্ঘ্য ১২ মাইলের বেশি—এ পর্যন্ত পাওয়া মাত্র তিনটি আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর এটি একটি।

অ্যাভি লোয়েব এর আগেও এমন বিতর্কিত দাবি করে শিরোনামে এসেছেন। ২০২৩ সালে তিনি দাবি করেন, প্রশান্ত মহাসাগরে পড়া একটি উল্কাপিণ্ডের ধ্বংসাবশেষ থেকে তিনি অজানা ধাতব যৌগ পেয়েছেন, যা হয়তো সৌরজগতের বাইরের উৎসের। যদিও অনেক বিজ্ঞানী এই দাবির যথার্থতা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন।

২০১৭ সালে পাওয়া প্রথম আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু ‘ওমুয়ামুয়া’ নিয়েও লোয়েবের এমনই একটি তত্ত্ব ছিল। তিনি বলেন, এটি সূর্যের আলো ব্যবহার করে চালিত হওয়া ‘লাইট সেইল’ প্রযুক্তির হতে পারে—অর্থাৎ এটি বুদ্ধিমান প্রাণীর তৈরি।

তবে ২০২৩ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানা যায়, ওমুয়ামুয়া আসলে একধরনের বরফধর্মী ধূমকেতু, যা সূর্যের তাপে গলে হাইড্রোজেন নির্গত করছিল। এই গ্যাসের চাপেই বস্তুটি দ্রুতগামী হয়ে পড়েছিল।

মঙ্গল গ্রহে প্রথমবারের মতো বজ্রপাত শনাক্তের দাবি

কৈশোর থামে বত্রিশে, বার্ধক্যের শুরু ছেষট্টির পর—চিহ্নিত হলো মস্তিষ্কের ৫ পর্যায়

ভূমিকম্পের পর্যায়ক্রম: ফোরশক, মেইনশক ও আফটারশক কী

প্রাণীদের প্রথম চুম্বন ২ কোটি ১০ লাখ বছর পুরোনো

১২ হাজার বছর পুরোনো মূর্তিতে বিশ্বের প্রাচীনতম পৌরাণিক গল্পের চিত্রায়ণ

৪০ হাজার বছর আগে একটি ম্যামথের জীবনের শেষ মুহূর্তের কথা জানলেন বিজ্ঞানীরা

মহাকাশে প্রস্রাব থেকে তৈরি প্রোটিন পাউডার হবে নভোচারীদের খাবার

ডিএনএর গঠন আবিষ্কারক ওয়াটসনের মৃত্যু, বর্ণবিদ্বেষ যাঁকে খ্যাতির শীর্ষ থেকে ডুবিয়েছে

প্রথম কবে মানুষের বন্ধু হলো কুকুর—একটি খুলি ঘিরে নতুন বিতর্ক

মহাকাশে বিশেষ চুলায় রান্নাবান্না, বারবিকিউ পার্টি করলেন চীনা নভোচারীরা