হোম > পথের কথা

‘টিকায় কাম হবি না’

প্রতিনিধি, রাজবাড়ী

‘টিকায় কাম হবি নানে। মরবার সময় হলি টিকা ঠেকাতে পারবি না। আমরা করোনায় ভয় পাই নে। চাষি মানুষ, মাঠে–ঘাটে কাজ করলি করোনা মরে যায়।’ কথাগুলো বলছিলেন সদর উপজেলার আহ্লাদীপুর গ্রামের হোসেন শেখ।

শুক্রবার সদর উপজেলার আহ্লাদীপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো বালাই নেই। কেউই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। বেশির ভাগ মানুষ করোনা বিষয়ে সচেতন নয়। আর যারা সচেতন তাঁরাও মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। গ্রামের মোড়ে মোড়ে কিংবা হাট-বাজারের চায়ের দোকানে চলছে আড্ডা। মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষ।

রহমান প্রামাণিক নামে একজন বলেন, ‘আজ পর্যন্ত মাস্ক পরি নাই। আমাগো করোনায় কিছু হবি না। আল্লাহ্ যে কয়ডা দিন হায়াত দিছে সেই কয়ডা দিন বাইচা থাকমু। শুনলাম কয়দিন পর টিকা দিবো। এহন সবাই নিলে আমিও নিমু।’

বাচ্চু মোল্লা বলেন, ‘ভাই করোনা শহরে আছে, গ্রামে নাই। সকাল–বিকাল এভাবেই আমরা বসে গল্প–গুজব করি। প্রশাসনকে তো গ্রামে দেখি না আসতে।’

জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় শহরের পাশাপাশি গ্রামের জনগণ যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সে জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। জনসাধারণ যাতে মাস্ক পরে চলাচল করে সে জন্য এবং সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, স্বাস্থ‍্যবিধি মেনে চলাতে প্রচার চালানো হচ্ছে।’

চুম্বকে চলছে শেফালীর জীবিকা

লাগামহীন দ্রব্যমূল্য: কেমন আছেন খেটে খাওয়া মানুষ

দার্জিলিংয়ের সেই গোমড়ামুখো চালক

‘ঘরপোড়া গরু সিঁদুরেমেঘ দেখলেই ডরায়’

 ‘চেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে গেলে’

বরই বেচে ভাত জোটে না দেলোয়ারের

দুর্গম পাহাড়ি পথে ভরসা বাবুল বড়ুয়া

টিয়া পাখির বাচ্চার প্রাণ বাঁচানো লিয়নকে বাঁচাবে কে

দুই কিডনিই বিকল, মেয়েকে বাঁচাতে প্রবাসী কর্মী মা এখন অটোরিকশা চালক

সত্তরোর্ধ্ব হাসেমের কাঁধে দিনভর আইসক্রিমের বাক্স, তবুও বুড়ো-বুড়ির সংসারে টানাটানি