হোম > পথের কথা

পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে যায়

হোসাইন ময়নুল

এক হাতে ঘুণ্টি আরেক হাতে সাইকেলের হ্যান্ডেল। সাইকেলের পেছনে বাঁধা একটি বাক্সে লাল, সবুজ, হলুদ রঙ্গের লাড্ডু আইসক্রিম। সাইকেলের প্যাডেল ঘুরছে আর চলছে হাঁক, 'দাদায় খেলে দাদি খুশি, ভাই খেলে ভাবি খুশি।' 

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ১৫ বছর ধরে এভাবে লাড্ডু বিক্রি করছেন রাজু মিয়া (৩৫)। প্রথমে নারিকেলের আইসক্রিম বিক্রি শুরু করলেও তেমন বিক্রি না হওয়ায় লাড্ডু বিক্রি শুরু করেন। ক্রেতাদের নজর কাড়তে লাড্ডুতে নিয়ে আসেন তিন রঙ্গের বৈচিত্র্য। কিশোর-কিশোরী ও বৃদ্ধাসহ সকল বয়সের মানুষই রাজু মিয়ার ক্রেতা। প্রতিটি লাড্ডু ৫ টাকা দরে প্রতিদিন ১ থেকে দেড় হাজার টাকার লাড্ডু বিক্রি হয়। এতে অন্তত ৫শ থেকে ৭শ টাকা লাভ থাকে। এই আয় দিয়েই চলে মা, স্ত্রী ও ৩ ছেলেসহ ৬ সদস্যের সংসার। 

রাজু মিয়া বলেন, করোনা, লকডাউন মিলে এত দিন এই আয়ের পথটা বন্ধ ছিল। তখন পরিবার নিয়ে বেশ কষ্টে দিন কেটেছে। লকডাউন শিথিল হওয়ায় আবারও শুরু হয়েছে লাড্ডু বিক্রি। এতে পরিবারে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে।

রাজু মিয়ার কাছে লাড্ডু কিনতে আসা আলমগীর হোসেন (৩০) বলেন, যখন স্কুল, কলেজে পড়তাম তখন স্কুলের গেটে বাক্সে সুন্দর করে সাজিয়ে লাড্ডু বিক্রি হতো। স্কুল ছুটির সময় অথবা টিফিন হলে ছুটে আসতাম লাড্ডু বিক্রেতার কাছে। সময়ের সঙ্গে সবকিছু পরিবর্তন হওয়ায় এই লাড্ডু আর তেমন একটা চোখে পড়ে না। আজ হুট করেই সামনে পড়ল, তাই কিনলাম। পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল। 

চুম্বকে চলছে শেফালীর জীবিকা

লাগামহীন দ্রব্যমূল্য: কেমন আছেন খেটে খাওয়া মানুষ

দার্জিলিংয়ের সেই গোমড়ামুখো চালক

‘ঘরপোড়া গরু সিঁদুরেমেঘ দেখলেই ডরায়’

 ‘চেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে গেলে’

বরই বেচে ভাত জোটে না দেলোয়ারের

দুর্গম পাহাড়ি পথে ভরসা বাবুল বড়ুয়া

টিয়া পাখির বাচ্চার প্রাণ বাঁচানো লিয়নকে বাঁচাবে কে

দুই কিডনিই বিকল, মেয়েকে বাঁচাতে প্রবাসী কর্মী মা এখন অটোরিকশা চালক

সত্তরোর্ধ্ব হাসেমের কাঁধে দিনভর আইসক্রিমের বাক্স, তবুও বুড়ো-বুড়ির সংসারে টানাটানি