মিরপুর স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লীগে আবাহনী বনাম মোহামেডানের খেলা। স্ট্রাইকিং প্রান্তে মুশফিকুর রহিম; বোলিংয়ে মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বল মুশফিকের পায়ে লাগলে এলবিডব্লিউর আবেদন করেন সাকিব। আম্পায়ার সাড়া না দিলে তিন সেকেন্ডের মাথায় বাঁ পায়ের লাথিতে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন সাকিব। এর কিছুক্ষণ পরে বৃষ্টির কারণ দেখিয়ে আম্পায়ার খেলা সমাপ্তির ঘোষণা দিলে দুই হাতে স্ট্যাম্প তুলে ছুড়ে মারেন সাকিব। ১১ জুনের এ ঘটনায় সাকিবের শাস্তি—তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা। এ বিষয়ে বনশ্রীর একটি সুপারশপের দুই বিক্রয়কর্মী মো. সুমন ও মো. হান্নানের সঙ্গে আজকের পত্রিকার হয়ে কথা বলেছেন ইমরান খান।
সাকিবের স্ট্যাম্প ভাঙার ঘটনাটি আপনি কীভাবে দেখছেন?
সুমন: এইটা আসলে ঠিক হয় নাই।
সুমনের উত্তর শেষ না হতেই পাশ থেকে কথা ধরেন মো. হান্নান। বলেন— ঠিক হইছে।
সুমন: আমার মতে ঠিক হয় নাই।
হান্নান: এ...মিয়া, ঠিক হয় নাই কিল্লিগা? আম্পেয়ার মিয়া ঘুষ খাইবো। ব্যবস্থাপনায় যারা আছে, হেরা যদি এ্যামনে খেলা চালায় নেক্সট প্রজন্ম খেলোয়াড় পাইবো কোইত্থেকে। আইজ ট্যাকার লোভে যদি ওয়াইড বলেরে আপ্নে রাইট বল দ্যান, আউট হইলে যদি নটাউট দ্যান; রান আউট হইলে আম্পেয়ার রেসপন্স না দেন, তাইলে ক্যামনে হইবো। সাকিবের ইজি এলবিডব্লিউ; অয় সিওর যে এলবিডব্লিউ আউট হইছে। আম্পেয়ার আউট দ্যায় নাই। এতে তো সবারই রাগ উইঠা যাইবোগা।
পরে যে হাত দিয়ে স্ট্যাম্প তুলে মারল?
হান্নান: বিষ্টি পড়লে খেলা স্টপ থাকে, ঠিকাছে। বিষ্টি পড়তাছে না, খেলা স্টপ কইরা থুইয়া দিছে। আরে বিষ্টি পড়ুক, তারপরে না বন্ধ করবি। বিষ্টি আসা সন্দেহ, মানে বিষ্টি হইবো, এর আগেই খেলা বন্ধ কইরা থুইতাছে। এই কারণেই তো স্ট্যাম্প তুইলা মারছে।
স্ট্যাম্প না ভেঙে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করা যেত না?
হান্নান: এডা ঠিকাছে ভাই; কিন্তু হয় না। এইরকম যদি আমাদের সাথে হয় আমরা তো যাইয়া আম্পেয়াররে পিডান শুরু করি। কিন্তু ওই জায়গায় উনি তো অইডা (পেটানো) করতে পারেন না। কারণ, উনি জাতীয় দলের একজন খেলোয়াড়; ইন্টারন্যাশনাল প্লেয়ার।
সুমন: কথা ও যা বলছে ওইডাই।