হোম > পথের কথা

‘লোকে বলে চাঁদাবাজি, আমার তো পেটে ক্ষুধা’

প্রতিনিধি

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ): গত বুধবার সন্ধ্যায় কোটচাঁদপুরের ফুলবাড়ি এলাকায় হাতি দিয়ে টাকা তুলছিলেন মাহুত রানা আহম্মেদ। সঙ্গে তাঁর সহযোগী হাসান। এভাবে হাতি দিয়ে টাকা তোলাকে সবাই ভালো চোখে দেখেন না। কেউ কেউ বলেন চাঁদাবাজি। ফুলবাড়ি বাজারের মুদি দোকানি আশরাফুল ইসলাম সরাসরি বলেই বসলেন, এরা তো হাতির ভয় দেখিয়ে দোকানে দোকানে টাকা তুলছে। আবার অল্প টাকা দিলে নিচ্ছে না। এটা তো চাঁদাবাজি। 

এমনকি প্রশাসনের কাছেও এ নিয়ে অভিযোগ গেছে। কোটচাঁদপুর থানার ওসি মঈন উদ্দিন বলেন, মানুষকে ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়া তো ঠিক না। এটা চাঁদাবাজি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। আমার এলাকায় এসব চলবে না। 

কিন্তু মাহুতরা বলছেন, তাঁদের তো কিছু করার নেই। পেটের দায়ে হাতি নিয়ে সাহায্য তুলতে বের হতে হয়। মানুষ বিরক্ত হয় ঠিক, কিন্তু ক্ষুধা মেটাবে কে? 

মাহুত রানা আহম্মেদ বলেন, সার্কাস বন্ধ; তাই ঘুরতাছি। গেল এক বছর করোনার কারণে কোনো সার্কাস হচ্ছে না। শুয়ে বসে আর কতো দিন চলে। পেট তো আর করোনা মানে না! তাই বেড়ইছি। রাস্তায় চলার পথে মানুষ যা দু–এক টাকা দিচ্ছে, তাই দিয়ে হাতির খাবার আর আমাদের দুজনের সংসার চলে। 

ওসির বক্তব্য শুনালে দুই মাহুত বলেন, মানুষ হাতি দেখে খুশি হয়ে টাকা দেয়। চাঁদাবাজি হবে কেন? আর আমরা তো কারও কাছ থেকে জোর করে টাকা নিচ্ছি না। 

চুম্বকে চলছে শেফালীর জীবিকা

লাগামহীন দ্রব্যমূল্য: কেমন আছেন খেটে খাওয়া মানুষ

দার্জিলিংয়ের সেই গোমড়ামুখো চালক

‘ঘরপোড়া গরু সিঁদুরেমেঘ দেখলেই ডরায়’

 ‘চেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে গেলে’

বরই বেচে ভাত জোটে না দেলোয়ারের

দুর্গম পাহাড়ি পথে ভরসা বাবুল বড়ুয়া

টিয়া পাখির বাচ্চার প্রাণ বাঁচানো লিয়নকে বাঁচাবে কে

দুই কিডনিই বিকল, মেয়েকে বাঁচাতে প্রবাসী কর্মী মা এখন অটোরিকশা চালক

সত্তরোর্ধ্ব হাসেমের কাঁধে দিনভর আইসক্রিমের বাক্স, তবুও বুড়ো-বুড়ির সংসারে টানাটানি