ঢাকা: ভোরে এক পশলা বৃষ্টির পর আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ফের হঠাৎ বৃষ্টি। ঢাকার ব্যস্ত সড়কে তখনও অনেকে অফিসমুখী।
বৃষ্টিতে যাতে ভিজতে না হয় সেজন্য রাজধানীর এয়ারপোর্ট সড়কের জিয়া কলোনাীর কাছে ফ্লাইওভারের নিচে আশ্রয় নিতে থাকেন মোটরসাইকেল আরোহীরা। এক এক করে শতাধিক মানুষ নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে যান ফ্লাইওভারের নিচে। এতেই বাঁধে বিপত্তি।
এক পাশের সড়কের বেশিরভাগ অংশে মোটরসাইকেল চালকেরা অবস্থান নেন। ফলে যতটুকু রাস্তা ফাঁকা ছিল সেখান দিয়ে একটি একটি করে গাড়ি পার হতে পারছিল। এতে অল্প সময়ের মধ্যে সেখানে তৈরি হয় যানজট।
রাস্তা আটকে যারা দাাঁড়িয়েছিলেন তাদের সরে যেতে অনুরোধ করেন মোটরেসাইকেল রাস্তায় রেখে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকা চালকেরা। কিন্তু এতে বিরক্তি প্রকাশ করেন রাস্তা আটকে রাখা চালকেরা। যারা রাস্তা আটকে দাঁড়িয়েছিলেন তাদের সঙ্গে অন্য চালকদের কথা কাটাকাটিও হয়। ততক্ষণে গাড়ির জট ছড়ায় প্রায় আধা কিলোমিটার জুড়ে।
এমন সময় ছাতা মাথায় নিয়ে একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট আসেন ওই ফ্লাইওভারের নিচে। যারা রাস্তা আটকে মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে ছিলেন তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। সরতে গেলেই ভিজতে হবে বলে কেউ পুলিশ কর্মকর্তার কথা শুনছিলেন না।
এরপরেও রাস্তা ফাঁকা করে সরে যাওয়ার অনুরোধ করতে থাকেন আনুমানিক ৫০ বছর বয়সী সেই ট্রাফিক সার্জেন্ট। কিন্তু কেউই তাঁর কথা শুনেননি।
পরে ট্রাফিক সার্জেন্ট ছাতা গুটিয়ে ধাক্কা দিয়ে রাস্তা আটকে রাখা মোটরসাইকেলগুলোকে সরিয়ে দিতে থাকেন। বৃষ্টির মধ্যেই রাস্তা ছাড়তে বাধ্য হন তাঁরা। এভাবে ২৫-৩০টি মোটরসাইকেল সরিয়ে দেওয়ার পর সড়কের অর্ধেক ফাঁকা হয়ে যায়। স্বাভাবিক হয় যানচলাচল।
মিনেট বিশেক ধরে ট্রাফিক সাজেন্টের এই কার্যক্রম যারা দেখছিলেন, তাদের মধ্যে একজন মন্তব্য করেন, ‘সোজা আঙুলে আসলেই ঘি ওঠে না।’