হোম > পথের কথা

ছোটবেলায় হামের টিকা দিয়েছিলাম, করোনার টিকা লাগবো?

ইমরান খান

করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিক্রি করেন মো. নুরুল ইসলাম। ৯ মাস আগে ৫০০ টাকা প্রাথমিক পুঁজিতে শুরু করা এই ব্যবসার মূলধন এখন অন্তত ২৫ হাজার টাকা। আর প্রতি মাসে লাভ কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা। 

রাজধানীর বনশ্রীর ফুটপাতে বসে সবার কাছে সুরক্ষা সামগ্রী বিক্রি করা নুরুল ইসলাম নিজের সুরক্ষার জন্য কী টিকা নিয়েছেন? সন্তানদের টিকা দেওয়াবেন? 

দেশে গণটিকা কর্মসূচি চালু হলেও টিকা নেননি নুরুল ইসলাম। বললেন, ‘আমি ওই ক্লাস ফাইভে যখন লিখাপড়া করি, তখন একটা টিকা নিছিলাম। এখন তো সমস্যা হওয়ার কথা না। এই টিকাটা যখন দিছিল, তখন ডাক্তার বলছিল কোনো রোগ–বালাই যাতে আক্রমণ করতে না পারে, সেই জন্য এই টিকা।’ 

আলাপে জানা গেল ওই টিকা ছিল হামের। এর পর আর টিকা নেননি নুরুল। এখন পর্যন্ত করোনা টিকাও নেননি তিনি। কারণ হিসেবে বললেন, ‘অনেকেই কইছে আর নেওয়া লাগব না। তারপর আমি আর সরাসরি টিকা নিতে যাই নাই; কাইল–পরশু যামু। যাইয়া জিগাই দেখি ছোটবেলায় টিকা দিছিলাম আর দেওয়া লাগব কিনা। কনফিডেন্স আছে। কারণ, এখন পর্যন্ত তো অসুস্থ হই নাই।’ 

কথায় কথায় জানতে চাইলেন—সব জায়গায় এই গণটিকা দিতে পারবেন কিনা। বললাম, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের গেলেই পাওয়া যাবে। এই শুনে নুরুল বললেন, ‘তো যামুনে। টিকা নেওয়া ভালো কিনা তা না জানলেও ভয় লাগে না।’ 

পরামর্শ নিতে কোন ডাক্তারের কাছে যাবেন তাও এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করেননি নুরুল। বলেন, ‘কোন ডাক্তারের কাছে গেলে ভালো হয়, আপনে পরামর্শ দেন।’ 

ছেলেমেয়েদের টিকা দেওয়াবেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, ‘ওরা তো আমার এখানে থাকে না। ওরা সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে থাকে, কলেজে লেখাপড়া করে। একজন ফার্স্ট ইয়ার, একজন সেকেন্ড ইয়ার। হ্যাঁ, ওইখানে দেওয়া গেলে ওগো অবশ্যই টিকা দেওয়ামু।’ 

চুম্বকে চলছে শেফালীর জীবিকা

লাগামহীন দ্রব্যমূল্য: কেমন আছেন খেটে খাওয়া মানুষ

দার্জিলিংয়ের সেই গোমড়ামুখো চালক

‘ঘরপোড়া গরু সিঁদুরেমেঘ দেখলেই ডরায়’

 ‘চেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে গেলে’

বরই বেচে ভাত জোটে না দেলোয়ারের

দুর্গম পাহাড়ি পথে ভরসা বাবুল বড়ুয়া

টিয়া পাখির বাচ্চার প্রাণ বাঁচানো লিয়নকে বাঁচাবে কে

দুই কিডনিই বিকল, মেয়েকে বাঁচাতে প্রবাসী কর্মী মা এখন অটোরিকশা চালক

সত্তরোর্ধ্ব হাসেমের কাঁধে দিনভর আইসক্রিমের বাক্স, তবুও বুড়ো-বুড়ির সংসারে টানাটানি