প্রধানমন্ত্রীর আদেশ, নির্দেশ এবং অনুরোধ কেউ মানছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। দেশজুড়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা মহানগর বিএনপি (উত্তর ও দক্ষিণ) আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রতিদিন আশ্চর্যজনক, বিস্ময়কর এবং অদ্ভুত কিছু ঘটনা ঘটছে। কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিলেন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। এই কথা বলার পরদিনই আমাদের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে হামলা করা হলো। এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদের গাড়িতে হামলা করা হলো। দেশের আরও ১০-১২টি স্থানে একইভাবে হামলা করা হলো। প্রধানমন্ত্রী বলার পরে এ ঘটনা কী করে ঘটে? আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, চোর-বাটপার, লুটেরা কেউ আজ প্রধানমন্ত্রীর কথা শোনে না।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও মিটিং-মিছিল করতে দেওয়া হয় না অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘মিটিং-মিছিল করতে অনুমতি নিতে হয়। তবে বিএনপি ভবিষ্যতে সভা-সমাবেশ করতে কোনো অনুমতি নেবে না। কারও অনুমতির তোয়াক্কা করবে না।’
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। কোনো আঁতাতের নির্বাচন বাংলাদেশে হতে দেওয়া হবে না। যারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে, তাঁরা জাতীয় বেইমান হিসেবে গণ্য হবে। এসব জাতীয় বেইমান ও সরকারের বিরুদ্ধে আমরা একযোগে ব্যবস্থা নেব।’