তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল হওয়ার রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দলটির পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানান সহকারী সেক্রেটারি এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, এই রায় দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, ‘এ রায়ের মাধ্যমে দেশের জনগণের বহুল প্রতীক্ষিত প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে এবং তারা ভোটাধিকার ফিরে পাবে। এই রায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’
মামলাটির সঙ্গে জড়িত সব আইনজীবী, পক্ষভুক্ত ব্যক্তিবর্গ এবং আদালতকে সহযোগিতা করা সবাইকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘তাঁদের ভূমিকা জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।’
জামায়াতের এই নেতা অভিযোগ করেন, ‘শেখ হাসিনা ২০১১ সালে কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা বাতিল করে দেশকে এক অন্ধকার যুগে ঠেলে দিয়েছিলেন। আজকের রায়ের মাধ্যমে জাতি সেই অন্ধকার থেকে মুক্তি লাভ করেছে।’ তিনি বলেন, ‘১৯৮৩ সালের ২০ নভেম্বর তৎকালীন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির আব্বাস আলী খান প্রথম কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি উত্থাপন করেন। বাস্তবে এই পদ্ধতির ধারণা উপস্থাপন করেন জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযম।’
এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারবিহীন বিগত নির্বাচনগুলো কলঙ্কিত নির্বাচন হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত হয়েছে। আজকের রায়ে গণতন্ত্র তার ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসবে।’
ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় অফিস সেক্রেটারি মাওলানা আ ফ ম আব্দুস সাত্তার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল মান্নান এবং প্রচার সহকারী আব্দুস সাত্তার সুমন।
উল্লেখ্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল করে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন।