অর্থনীতির সুফল জনগণের কাছে না গিয়ে একটা গোষ্ঠীর কাছে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ডেমোক্রেটাইজেশন অব ইকোনমি মানে অর্থনৈতিক গণতন্ত্রায়ণ করা। বাংলাদেশে পৃষ্ঠপোষকতার যে রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে যে উন্নয়ন, তার সুফল জনগণের কাছে না গিয়ে একটি গোষ্ঠীর কাছে গেছে।’
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্রান্ড বলরুমে ‘অর্থনীতির ভবিষ্যত পথরেখা ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার’ শীর্ষক অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। চতুর্থ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলন ২০২৫-এ এই অধিবেশনের আয়োজন করে বণিক বার্তা।
অর্থনীতির গণতান্ত্রিকীকরণের বিষয়ে বলতে গিয়ে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু বলেন, ‘একটা গোষ্ঠী এবং একটা অর্গানাইজ গ্রুপ যাদের শক্তির কারণে, পলিটিক্যাল রিজিলেন্সের কারণে, এলাইনমেন্টের কারণে একটা সুবিধাভোগী রাজনীতি, একটা সুবিধাবিধি অর্থনীতি সৃষ্টি হয়েছে। সেখান থেকে অর্থনীতির সুফল জনগণের কাছে না গিয়ে একটা গোষ্ঠীর কাছে গেছে, একটা অর্গানাইজ গ্রুপের কাছে গেছে। এই প্রেক্ষাপটে আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে যে স্লোগানটা দিচ্ছি, সেটার অর্থ রাজনীতিকে যেভাবে গণতন্ত্রায়ণের কথা আমরা বলছি, অর্থনীতিকেও আমাদের গণতন্ত্রের দিকে নিয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘খালি রাজনীতিকে গণতন্ত্রায়ণ করবেন, নির্বাচন করবেন, সরকার হবে, সংসদ হবে, সেটা কিন্তু সলিউশন (সমাধান) হবে না। সলিউশন হবে আমরা যদি অর্থনীতিকে গণতন্ত্রায়ণ করতে পারি। যেই ধরনের অর্থনীতি বিগত দিনে চলে আসছে আমাদের সেই অর্থনীতি থেকে সরে একটা নতুন অর্থনৈতিক মডেলের কথা চিন্তা করতে হবে। প্রত্যেকটি নাগরিক অর্থনৈতিক যে নীতিমালা থাকবে, অর্থনীতির যে কি আউটরিচ থাকবে, এক্সেস থাকবে, সেখানে আমরা নাগরিকদের কিভাবে সম্পৃক্ত করব, সেটা দেখতে হবে। অর্থনৈতিক গণতন্ত্রায়ণ মানে হলো বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের অর্থনৈতিক নীতিমালায় অংশগ্রহণ এবং অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা।’
অর্থনৈতিক গণতন্ত্রায়ণকে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হলে ডিজিটাল অর্থনীতি এবং প্রযুক্তির উন্নয়ন অপরিহার্য বলে মনে করেন তিনি।
বিশাল কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য নির্ধারণে ১৮ মাসে এক কোটি চাকরির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘এক কোটি চাকরি ১৮ মাসে’ আমরা প্রজেক্ট করেছি বিএনপির পক্ষ থেকে। এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। কারণ পূর্ববর্তী বিএনপি শাসনকালে এমপ্লয়মেন্ট কার্ভ সবসময় ঊর্ধ্বমুখী ছিল।’