আওয়ামী লীগ নিজেই স্বাধীনতার আদর্শের বিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিজেদেরকে গণতন্ত্রের পক্ষের দল হিসেবে দাবি করে, কিন্তু ৭২ থেকে ৭৫ এবং বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ যেসব কর্মকাণ্ড করেছে তা প্রমাণ করে, স্বাধীনতার যে আদর্শ আওয়ামী লীগ তারই বিরোধী।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশে দ্বিতীয় বাকশাল কায়েম করেছে মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, ‘আমরা রাজপথে নেমেছি, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে গণতন্ত্র আমাদের দিয়েছিলেন তাকে পুনরুদ্ধার করার জন্য আমরা আন্দোলন করছি। আজকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র একপ্রকার মৃত। আওয়ামী লীগ ১৫ বছর ধরে দেশে দ্বিতীয় বাকশাল কায়েম করে মানুষের অধিকার হরণ করে নিয়েছে।’
ক্ষমতাসীন দল দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অধিকারও হরণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং লুটপাটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। কানাডায় বেগমপাড়া করেছে, দুবাইতে গুলশান থ্রি সৃষ্টি হয়েছে এবং মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের রক্ত পানি করা অর্থ লুট করে নিয়ে গিয়ে বিলাস বৈভবে মত্ত।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘৭২ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত এই দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের যে চেতনা, তা সংসদে মাত্র ১১ মিনিটে ধ্বংস করে দিয়ে এ দেশে বাকশাল কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। পরবর্তী ৭ নভেম্বর এ দেশের মানুষ ভালোবেসে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ডেকে এনে এ দেশকে পুনর্গঠনের দায়িত্ব দিয়েছিল। কেননা বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রাখতে পারে নাই।’
বিএনপি দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন করছি, এটা অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হতে হবে। কারণ এর ব্যাখ্যা হচ্ছে বিএনপি আওয়ামী লীগের মতন লগি-বৈঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা একটি সভ্য জাতি হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে চাই, যে শিক্ষা জিয়াউর রহমান আমাদের দিয়েছিল।’