নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আজকের এই আলোচনায় আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সমর্থন জানিয়েছি। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে একটা দাবি ছিল আমাদের, যেটা ৩০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন করার কথা ছিল; এ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, জুলাই আন্দোলনে যাঁরা আহত ও শহীদ হয়েছেন, তাঁদের পুনর্বাসনের বিষয়টিও ধীরগতির ছিল। আর এই আর্থিক বিষয়টা যেন সঠিকভাবে হয়, সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে আমরা বলেছি।’
আজ শনিবার (২৪ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘আরেকটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, শেখ হাসিনার আমলে যেসব নির্বাচন হয়েছিল, সেগুলো বিতর্কিত ছিল। তাই সেই নির্বাচনগুলোকে আইনগতভাবে অবৈধ ঘোষণার জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে বলেছি।’
নাহিদ বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের যেসব ছাত্র প্রতিনিধিরা উপদেষ্টা হয়েছেন, তাঁরা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করেন না। এ বিষয়ে আমরা আজকে স্পষ্ট করেছি। তাঁরা গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে উপদেষ্টা হয়েছেন।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, তিনি যেন দায়িত্বে থাকেন এবং দায়িত্বে থেকে গণ-অভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটি বাস্তবায়নে কাজ করেন।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতা নিতে চাননি উল্লেখ করে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি ক্ষমতা নিতে চাননি, আমরাই উনাকে ক্ষমতা দিয়েছি। উনি যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখন নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু তিনি কাজ করতে গিয়ে অনেক বাধার সম্মুখীন হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেন। তবে আমরা উনাকে বুঝিয়েছি, উনি যেন সব কিছু বাদ দিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটাকে লক্ষ্য রেখে কাজ করে যান।’