তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কফিনে শেষ পেরেক বিএনপিই ঠুকেছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি, ঢাকার আয়োজনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলী খানের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন কামরুল ইসলাম।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির ভূমিকার সমালোচনা করে এ আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপির বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়েছে। এই ব্যবস্থায় আর ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়।’
দেশের ক্রান্তিকালে আকবর আলী খানের ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিভাজনে কখনো নিজেকে সম্পৃক্ত করেননি তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘আকবর আলী খান নিয়মিত গ্রামে যেতেন। দুটি কারণে জাতি তাঁকে স্মরণ করবে, একটি হলো মুক্তিযুদ্ধ, আরেকটি হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তাঁর ভূমিকা।’ ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা ও বাংলা একাডেমির পুরস্কার তাঁর পাওয়া উচিত ছিল। তবে এসব পুরস্কার না পেলেও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আকবর আলী খানকে তাঁর অবদানের জন্য মনে রাখবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের স্বনামধন্য গবেষকদের তালিকা তৈরি করলে তাতে আকবর আলী খানের নাম থাকবে। তাঁর “দ্য ডিসকভারি অব বাংলাদেশ” বইতে প্রান্তিক পর্যায় থেকে দেশের মানুষের জীবনকে যেভাবে আকবর আলী খান তুলে এনেছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকা-এর সভাপতি সৈয়দ ইসতিয়াক রেজা আদর্শিক আকবর আলী খানকে আদর্শিকভাবে স্মরণ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘নীতি ও আদর্শের কারণে সে সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার থেকে পদত্যাগ না করলে দেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতো। ক্ষমতার লোভ ত্যাগ করতে পেরেছিলেন বলেই সেই সময় একটি সাজানো নির্বাচন থেকে জাতি মুক্তি পেয়েছিল।’