তরুণদের কাছে প্রত্যাশার কথা বলতে গিয়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘তরুণেরা ককপিটে বসে দেশ পরিচালনা করবে, আমরা পেছন থেকে শক্তি জোগাব।’
আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচিত প্রতিনিধি সংবর্ধনা ২০২৫-এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘দুর্বার নেতৃত্বে গড়ি স্বপ্নের ক্যাম্পাস’—স্লোগানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ইসলামী ছাত্রশিবির।
জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘একজন নাগরিক হিসেবে ভবিষ্যতের বৃহৎ নেতৃত্বের জন্য নিজেকে তৈরি করতে হবে। তোমাদের (তরুণ) হাতে নেতৃত্ব তুলে দিয়ে আমরা পেছন থেকে তোমাদের শক্তি জোগাতে চাই। দেশের ককপিটে তোমাদের বসাতে চাই। তোমরা ককপিটে বসে দেশ পরিচালনা করবা, পেছন থেকে আমরা তোমাদের জন্য দোয়া করব, শক্তি জোগাব।’
জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘ভুল করলে কানে কানে তোমাদেরকে বলে সংশোধন করে দিব, কথা না শুনলে হাতে ধরে ঝাঁকি দেব। যদি তা-ও না শোনো, তাহলে সম্মানের এই আসন থেকে জাতিকে সঙ্গে নিয়ে তোমাদেরকে সরায়ে দেব।’
দেশ পরিচালনায় তরুণদের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘তোমাদেরকে সেইভাবেই প্রস্তুত হতে হবে। আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি, তোমরা পারবা, তোমরা পেরেছ। একটা হস্তীকে তোমরা এই সমাজ থেকে তাড়াতে পেরেছ, এটাই পর্বতপ্রমাণ। আর সেটা তোমাদের নেতৃত্বেই সফল হয়েছে। আগামীর নতুন বাংলাদেশ, বেটার বাংলাদেশ তরুণদের হাত দিয়ে গড়ে উঠবে।’
আগামী দিনের বাংলাদেশ কীভাবে গড়বে, তার রিহার্সাল হচ্ছে ছাত্র সংসদ নির্বাচন উল্লেখ করে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘আমি সব সময় তারুণ্যের বিকাশের পথে। তারুণ্যনির্ভর একটা বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই, ১৮ কোটি মানুষ দেখতে চাই। এই তরুণেরা আগামীর বাংলাদেশ কীভাবে গড়বে, তার রিহার্সাল হচ্ছে এখনকার ছাত্র সংসদের মাধ্যম।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাকে লোকেরা আরও জিজ্ঞেস করে, আগামীর বাংলাদেশটা কেমন হবে? আমি বলি যে, কয়েকটা দিন অপেক্ষা করেন। যেমন হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; তেমনই হবে আগামীর বাংলাদেশ। তাহলে বুঝতে হবে, তরুণদের ওপরে দায়িত্ব কত ভারী। এই ভারী দায়িত্বের পাহাড় নয়, পর্বতও আপনারা ডিঙাতে পারবেন।’