অতীতের রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের কারণেই আজ সব ক্ষেত্রে চরম অনৈক্য সৃষ্টির হয়েছে। এতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।
আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষ এখনো বিশ্বাস করতে পারছে না, আগামী ফেব্রুয়ারিতে আদৌ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কিনা। সরকারকে দায়িত্ব নিয়ে এই সংশয় ও অনিশ্চয়তা দূর করতে হবে।’
জাতীয় পার্টির মহাসচিব আরও বলেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক। কোনো কারণে যদি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হয়, তাহলে নির্বাচনের পর দেশ আরও গভীর সংকটে নিমজ্জিত হবে।’
রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, অতীতের রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের কারণে দেশে আজ সর্বক্ষেত্রে অনৈক্য বিরাজমান। আমাদের ওই ধরনের আচরণ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। না হলে বিশ্ব দরবারে জাতি হিসেবে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব না।
এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব আরও বলেন, ‘রাজনীতিতে মতের পার্থক্য থাকতে পারে, অবস্থানগত দূরত্ব থাকতে পারে। কিন্তু প্রতিহিংসা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। জাতীয় পার্টি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। আমরা বিশ্বাস করি গণতান্ত্রিক চর্চায় ও নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনায়।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন খোকা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক ফখরুল আহসান শাহজাদা, ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হাওলাদার, নাসির উদ্দিন সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা সিরাজুল আরেফিন মাসুম, আব্দুস সাত্তার, আলমগীর হোসেন, জিয়াউর রহমান বিপুল, আল মামুন।