পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচনী প্রচারকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের ওপর স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা ‘পরিকল্পিত হামলা’ চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি দাবি করেছে, পরিকল্পিত এই আক্রমণে অর্ধশতাধিক বিএনপির নেতা-কর্মী আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিএনপির অভিযোগ অনুযায়ী, জামায়াতে ইসলামী মনোনীত স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডল স্বয়ং এই আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারের সময় জামায়াত নেতা–কর্মীরা ‘সহজাত ধর্মীয় প্রলোভন ও জান্নাতের টিকিট বিক্রির মতো আপত্তিকর বিষয়কে’ প্রচারের উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করছিলেন। ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ এর প্রতিবাদ জানালে জামায়াত কর্মীরা তাদের ওপর মারমুখী আক্রমণ করেন। পরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ প্রচাররত নেতা-কর্মীরা অতর্কিতে বিনা প্ররোচনায় তাঁদের আক্রমণের শিকার হন।
বিএনপি বিবৃতিতে পত্রিকায় প্রকাশিত একটি ছবির উল্লেখ করে বলেছে, সেখানে জামায়াত কর্মী তুষারকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে আক্রমণরত দেখা গেছে।
রুহুল কবির রিজভী আরও অভিযোগ করেন, ‘দু-একটি গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ করছে।’
রিজভী বলেন, ‘শত উসকানিতেও সংযম ও ধৈর্য প্রদর্শনে বিএনপি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কারণ, বিএনপি জানে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনিশ্চিত হলে দেশের মানুষের বহুল প্রত্যাশিত গণতান্ত্রিক উত্তরণের স্বপ্ন নিঃশেষিত হয়ে যাবে।’
বিএনপি এই ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত ও বিচারের আওতায় এনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সরকারি পদক্ষেপের জোর দাবি জানিয়েছে।