আগামী সেপ্টেম্বর, অক্টোবর মাসে সরকারের আগাম নির্বাচনের পরিকল্পনা বিরোধীদের আন্দোলন দমনের চেষ্টা অভিহিত করে গণতন্ত্র মঞ্চ বলছে, তা মানা হবে না।
আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে ‘প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়রানিমূলক মামলা, র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ’ শীর্ষক আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন তারা।
গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান একটি সংবাদপত্রের রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আগামী সেপ্টেম্বর, অক্টোবর মাসে নাকি সরকার আগাম নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে। এই পরিকল্পনা গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিরোধী দলগুলোকে দমনের চেষ্টা। সরকার ভেবেছে আগেভাগে নির্বাচন দিয়ে আন্দোলন কৌশলে শেষ করে দেবে। তাই আগাম নির্বাচনের যেকোনো পরিকল্পনা আমরা বিরোধী দলগুলো প্রত্যাখ্যান করছি।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এই বছর নির্বাচনের বছর। সরকার আদৌ নির্বাচন দিতে পারবে কি না এ নিয়ে সংশয়ে আছে। সরকার বিদেশিদের বলেছে তারা নাকি ইনক্লুসিভ নির্বাচন করবে। তো সেই নির্বাচনে কে যাবে? এই সরকারের অধীনে গণতন্ত্র মঞ্চ নির্বাচনে যাবে না। সবচেয়ে বড় বিরোধী দল বিএনপিও যাবে না। সুতরাং তারা কাকে নিয়ে নির্বাচন করবে? প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে সরকার গ্রেপ্তার করতে পারবে না। শামসকেও ছেড়ে দিতে হবে। আর এ রকম করে সরকারকেও কানতে কানতে বিদায় নিতে হবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এই দেশের ৮০ ভাগ মানুষের কাছে স্বাধীনতা হলো মাছ, মাংসের স্বাধীনতা। ৮০ ভাগ মানুষ এই স্বাধীনতা চায়। প্রথম আলোকে শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে অন্য সংবাদমাধ্যমগুলোকে সরকার গলা টিপে ধরতে চাইছে। কিন্তু এই গলা টিপে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া যাবে না, জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে।’